আপডেট :

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট

        ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিংটন বিচে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: আহত ৫ জন হাসপাতালে

        প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রেডিয়েশন থেরাপি চলছে

        টেনেসিতে বিস্ফোরক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: ১৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা, কেউ বেঁচে নেই

        মিসিসিপিতে ফুটবল খেলার পর গণগুলি: নিহত ৪, আহত ১২

        পুতিনের মন্তব্য: ট্রাম্প বঞ্চিত হওয়ায় নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ

        সমুদ্রের তলায় ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হুমকি

        ইশরাক হোসেনের জীবনের নতুন অধ্যায়: কে তিনি বিয়ে করছেন?

        জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য রাখতে হবে ১ হাজার টাকার মধ্যে

        চুয়েটের ‘টিম এসরো’ নাসার গ্লোবাল স্পেস চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর বিশ্বজয়ী

        নির্বাচনের ফেব্রুয়ারি তাং নিয়ে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস: মন্তব্য

        সিরিজে রশিদের স্পিনে বাঙালিরা হেরেছে

        আসল নকল মিলছে? আপনার ফোন নকল কিনা জানতে এই উপায়গুলো অনুসরণ করুন

        হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ১ থেকে ৩৮

        দারুল উলুম দেওবন্দ পরিদর্শনে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উষ্ণ অভ্যর্থনা

        যুক্তরাষ্ট্রে অগ্নিসংঘর্ষে নিহত চারজন

        পিআর প্রক্রিয়া নিয়ে উচ্চকক্ষে একমত হওয়ার চেষ্টা

        শাহরুখ খানের ফিটনেস রহস্য: দিনে চারবার খাবার

        ইয়ামালের সমর্থনে এমবাপ্পের বক্তব্য: ‘১৮ বছরের শিশু’

        বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম ভাবাই আমাদের মূল নীতি

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কিয়েভে নিহত অন্তত ৮, আহত ৮০-এর বেশি

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কিয়েভে নিহত অন্তত ৮, আহত ৮০-এর বেশি

ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস

রাশিয়ার একটি ভয়াবহ রাতের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অন্তত ৮ জন নিহত ও ৮০ জনের বেশি আহত হয়েছেন, যার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো জানান, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে কয়েকটি স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং একটি আবাসিক ভবনের ধ্বংসস্তূপে অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

খারকিভ শহরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে, যেখানে অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র।

হামলার পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর কূটনৈতিক সফর সংক্ষিপ্ত করার ঘোষণা দেন।

ইউক্রেনের জরুরি সেবা বিভাগ DSNS এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিকভাবে ৯ জন নিহতের কথা বলা হলেও পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেঙ্কো মৃত্যুর সংখ্যা সংশোধন করে ৮ জনে নামিয়ে আনেন। তিনি জানান, একজন নিহত বলে ধারণা করা হয়েছিল কিন্তু পরে বোঝা যায় সেই দেহাংশ অন্য ভিকটিমদের।

মেয়র ক্লিচকো জানান, আহতদের মধ্যে ৬ শিশু এবং একজন গর্ভবতী নারী রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনো ফোন কলের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে এবং দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

রাতে চালানো হামলায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আশেপাশের ভবনগুলোর জানালা উড়ে গেছে, এবং ব্যালকনি ধসে পড়েছে।

উদ্ধারকাজ চলছে এবং স্নিফার ডগসহ জরুরি বাহিনী ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিতদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল সভিয়াতোশিনস্কি জেলা। আরও পাঁচটি জেলা—হলোসিভস্কি, সোলোমিয়ানস্কি, এবং শেভচেনকিভস্কি সহ অন্যান্য এলাকাও হামলার শিকার হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে বিশাল অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এই হামলা এমন সময়ে হয়েছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বিরুদ্ধে শান্তি আলোচনায় বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগ তুলেছেন।

জেলেনস্কি আবারও বলেন, ২০১৪ সালে রাশিয়ার অবৈধভাবে দখল করা ক্রিমিয়া কোনোভাবেই স্বীকৃত হবে না।

২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-র ঘোষণার কথা তুলে ধরে জেলেনস্কি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দখলদারি প্রত্যাখ্যান করে।"

সর্বশেষ এই হামলায় এক নারী যিনি পূর্ব ইউক্রেন থেকে পালিয়ে কিয়েভে এসেছিলেন, BBC-কে বলেন, "আমার শহর এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। জেলেনস্কিকে এই ভূখণ্ড ত্যাগ করা উচিত নয়, কারণ এটি আমাদের সংবিধানের বিরোধী।"

এই হামলাটি গত বছরের ৮ জুলাই-এর পর কিয়েভে অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা। তখন ৩৪ জন নিহত ও ১২১ জন আহত হয়েছিলেন, এবং ওখমাদিত শিশু হাসপাতাল-সহ বেসামরিক স্থাপনাগুলিতে আঘাত হেনেছিল।

খারকিভে, যা রাশিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিমি দূরে, দুটি ব্যক্তিগত বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মেয়র ইহোর তেরেখোভ।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা বলেন, এই হামলা প্রমাণ করে যে শান্তি আলোচনার পথে ইউক্রেন নয়, বরং রাশিয়াই প্রধান বাধা। তিনি বলেন, “পুতিন শান্তিকে সম্মান করেন না এবং শুধু যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান।”

এদিকে, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই সপ্তাহেই মস্কো সফরে যাচ্ছেন। এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, শান্তি চুক্তি "খুব কাছাকাছি"।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি পরিকল্পনা দিয়েছে যেখানে যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন “বর্তমান সীমার কাছাকাছি” স্থির করতে হবে।

কিন্তু কিয়েভ বলেছে, তারা কোনো “ফ্রোজেন কনফ্লিক্ট” মানতে রাজি নয়। ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিডেঙ্কো বলেন, একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতি “প্রথম ও অপরিহার্য ধাপ”।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী সতর্ক করেছে, প্রায় সব অঞ্চলেই বিমান হামলার হুমকি রয়েছে।

রুশ সামরিক বাহিনী এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইউক্রেনের ৮৭টি ড্রোন ধ্বংস বা প্রতিহত করা হয়েছে।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত