সৌদি শ্রমবাজারে নতুন সম্ভাবনা
বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্যে সৌদি শ্রমবাজার নতুন করে সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে বলে অভিমত জানিয়েছেন, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ.কে.এম শহীদুল করিম।
২০১৪ সালে সৌদি সরকার সাধারণ ক্ষমার আওতায় হাজার হাজার প্রবাসীকে বৈধ করার পাশাপাশি অসংখ্য অবৈধ শ্রমিক বিভিন্ন দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ফলে বর্তমানে সৌদি শ্রম-বাজারে কনষ্ট্রাকশন সহ বিভিন্ন কাজের সাধারণ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সৌদি সরকার দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই শ্রমশক্তির চাহিদা এখানে প্রচুর। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ.কে.এম শহীদুল করিম বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে খুবই চমৎকার। খুব শীঘ্র বাংলাদেশের জন্যে শ্রম-বাজার পুরোপুরি উম্মুক্ত হবে বলে আশাবাদ জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে সৌদি আরব সফর করেন। এর ধারাবাহিকতায় শ্রম ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী এবং পররাষ্টমন্ত্রী বারবার সৌদি আরবে আসেন এবং প্রবাসীদের সমস্যা নিরসনে চেষ্টা চালান। এরই ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালে প্রায় ৮ লক্ষ বাংলাদেশী ইকামা ট্রান্সপার সহ বৈদতা অর্জন করে। সেই সময় দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক হাজার হাজার বাংলাদেশী দেশে যেতে সক্ষম হয়। কনসাল জেনারেল আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, শীঘ্রই শ্রম বাজার খুলে যাবে এবং বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শ্রম-শক্তি রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সৌদি আরব প্রবাসী হাজী রহিম উল্যাহ এমপি, যিনি বর্তমান সংসদে ফেনী-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসাদ, সম্প্রতি সৌদি আরব সফর কালে এক সাক্ষাৎকারে জানান তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌদি শ্রম-বাজার বিষয়ে ঘটিষ্ট যোগাযোগ রাখছেন এবং তিনি আশাবাদী আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে সৌদি শ্রমবাজার পুরোপুরি খুলে যাবে বাংলাদেশের জন্যে। বাংলাদেশী শ্রমিকদের এদেশে কাজের প্রচুর সুনাম আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সৌদি প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবাসায়ী আলহাজ্জ আবদুর রহমান সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশী শ্রমিক ঠিক মতো না পাওয়া তাঁদের ব্যবসা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সৌদি শ্রমবাজারে বাংলাদেশীদের জন্যে দ্রুত উম্মুক্ত করার ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগের দাবী জানান তিনি।
শেয়ার করুন