আপডেট :

        বিরতির পর লিটনের ট্রাস্ট: বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি স্কয়াডে নতুন জীবন!

        অর্ধেকেরও বেশি ব্যাংক সাইবার হামলা প্রতিরোধে অক্ষম

        ক্যারিয়ারে সাফল্যের শক্তি

        ‘নূর ভাই বেঁচে আছেন, সে বেঁচে থাকা মৃত‍্যুর চেয়ে একটু ভালো’

        ইউক্রেনে ‘টমাহক’ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে পেন্টাগন

        সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ভক্তদের মানববন্ধন

        ফুটবলাররা জানেন না কোচ নেই

        ‘আমার লোক, তোমার লোক’ কালচার থেকে বিএনপি-জামায়াতকে বের হয়ে আসতে হবে: আসিফ নজরুল

        এবার নাইজেরিয়ার তেলের খনিতে নজর ট্রাম্পের

        উত্তর কর্দোফানে সহিংসতার ভয়াবহতা, হাজারো মানুষ স্থানত্যাগে বাধ্য

        জুবিন গার্গের শেষ কাজ রূপ পেল, সিনেমা ‘রই রই বিনালে’ মুক্তি

        উপভোগ নয়, মিতব্যয়িতা—আজ বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস

        যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর

        ফুটবল বিশ্লেষক মন্তব্য, লিভারপুলের আসল সাইজ মানুষের ধারণার চেয়ে ছোট

        তাইওয়ান স্পষ্ট বার্তা দিল, চীনের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়

        এআই যুগ শেষ, আগামী দিনের বিস্ময়কর প্রযুক্তি: এজিআই

        চীন-জাপান সম্পর্কের নতুন অধ্যায়, শি জিনপিং বৈঠকে যুক্ত নতুন প্রধানমন্ত্রী

        ১,৪০৭ টন আলু নেপালে, বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে রপ্তানি

        বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপের সম্ভাবনা, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

        সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটের তারিখ নিয়ে জল্পনা

ইসলাম যা বলে কসম প্রসঙ্গে !

ইসলাম যা বলে কসম প্রসঙ্গে !

সারা বিশ্বের মানুষ শান্তির খোঁজে ছুটছে। কিন্তু শান্তির দেখা মেলে না। কারণ শান্তি পাওয়ার যে শর্তগুলো আল্লাহপাক কোরআনে উল্লেখ করেছেন সেগুলো মানুষের মধ্যে অনুপস্থিত। যিনি আমার মালিক, যিনি আমাকে জীবন ধারণের সব উপকরণ সরবরাহ করেন তাঁর কথা মতো না চলে শান্তির প্রত্যাশা করি কীভাবে? শান্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর শর্তগুলো কী? পবিত্র কোরআনের সুরা আল-আসরেই রয়েছে সেগুলো।

আল্লাহপাক বলেছেন, ‘কসম যুগের; নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে। কিন্তু তারা নয় যারা ইমান আনে এবং নেক আমল করে, সঙ্গে সঙ্গে তারা পরস্পরকে হকের ওপর অটল থাকার উপদেশ দেয় এবং একে অপরকে ছবরের তাগিদ দেয়।’

এই আয়াতে আল্লাহপাক শান্তির জন্য চারটি শর্তের উল্লেখ করেছেন। তবে এগুলোর গুরুত্ব বোঝানোর জন্য শুরুতে তিনি যুগ বা কালের কসম করেছেন কিংবা কালকে সাক্ষী রেখেছেন। এখানে দেখার বিষয়, সাক্ষী রাখা হয় এ জন্য, বক্তা অথবা শ্রোতা কেউ যেন পরবর্তীতে বিষয়টিকে অস্বীকার করতে না পারে। তদ্রুপ দুজনের কেউ হয়তো বিষয়টি বিস্মৃত হয়, তখন সাক্ষীর মাধ্যমে বিষয়টিকে প্রমাণ করা সহজ হয়।

আসলে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোরআন ও রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য বড় নেয়ামত। এ দুটি ছাড়া আমাদের পক্ষে দুনিয়াতে শান্তিময় জীবনযাপন করা এবং আখেরাতের চিরমুক্তি পথের সন্ধান পাওয়া কিছুতেই সম্ভব হতো না।

আল্লাহ বলেন, ‘লাকাদ কানা লাকুম ফি রসুলিল্লাহি উসওয়াতুন হাসানাহ’ অর্থাৎ তোমাদের জন্য রয়েছে রসুলের চরিত্রে উত্তম আদর্শ। এ আয়াতে সে কথাই বর্ণনা করা হয়েছে। ‘উসওয়া’-এর অর্থ হলো নিদর্শন, নমুনা, মডেল।

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য উত্তম মডেল। তাঁর পথ-প্রদর্শন ব্যতিরেকে কিছুতেই আমরা গন্তব্যের সন্ধান পেতাম না। কোরআন ও রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জীবন পথের পাথেয়।

মানবিক জীবনাচারের সবকিছুই আমরা কোরআন ও রসুল (সা.) থেকে আমরা শিখি। তাই কোরআনে আল্লাহতায়ালা মানবীয় জীবনের স্বভাব ও আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অনেক কিছু উল্লেখ করেন, যা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার উপযুক্ত নয়, তথাপি শুধু মানুষের কাছে সহজবোধ্য করার জন্য তা উল্লেখ করেন।

সাংসারিক বিবাদ-বিসংবাদ মীমাংসা করার সুবিদিত পন্থা যেমন দাবির সপক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ করা, আর সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকলে কসম করা, তেমনি আল্লাহ মানুষের এ পরিচিত পন্থা নিজেও অবলম্বন করেছেন। তিনি কোথাও ‘শাহাদাহ’ শব্দের মাধ্যমে বিষয়বস্তুকে জোরদার করেছেন, যেমন- ‘শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা ইল্লাহু’ আবার কোথাও কসমের দ্বারা; যেমন- ‘ওয়ালআসরে’ ইত্যাদি।

অনেকে তো কথায় কথায় কসম করে। এটা নিন্দনীয়। দোকানদাররা বলে, খোদার কসম! ৪০ টাকায় আমার কেনা, লাভ ছাড়াই আপনাকে কেনা দামে দিলাম। কেউ বলে, কসম খোদার! মাল একখানা দিলাম, সারা জীবন মনে করতে হবে! বাড়িতে এসে দেখা যায় বাতিল মাল। আবার অনেকের কথা- যারা আছে, যারা আলাপ-আলোচনার সময় দুই-তিন বাক্য পরপর কসম খায়। সমাজে কিন্তু এদের সর্বাপেক্ষা বড় মিথ্যুক ধারণা করা হয়। হাদিসেও এদের ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, (তরজমা) ‘বেশি বেশি কসম খাওয়া মিথ্যাবাদীর আলামত।’

তবে শরিয়তে কসমের গুরুত্ব রয়েছে। ইসলামী বিধানের কোনো কোনো ক্ষেত্রে কসমকে অত্যধিক গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। সাধারণ কথাবার্তায়ও কসমের দ্বারা বক্তব্যের বিশুদ্ধতা ও যথার্থতা বৃদ্ধি পায়। এটা সর্বজনবিদিত ও স্বীকৃত। তবে সীমা অতিক্রম করলে সব কিছুতেই নিন্দার শিকার হতে হয়। কথায় কথায় কসম করা আত্মমর্যাদাবোধহীনতার পরিচয়। যার মধ্যে যতটা সৎ গুণাবলি ও প্রশংসিত বৈশিষ্ট্যের অনুপস্থিতি রয়েছে, সে ততটাই এই নিন্দনীয় স্বভাবের শিকার হয়েছে।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত