আপডেট :

        শনিবার খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

        বৃষ্টি কামনায় ব্যাঙের বিয়ে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা গল্পকথা

        ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

        কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

        নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

        নাফ নদীতে মাছ শিকাররত ১০জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ

        টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা

        রাজধানীতে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

        রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও এসময় বজ্রপাতে ৩জন নিহত

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে?

        মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

        শ্রম অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির পর্যায়

        কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে নিহত হলেন দিদারুল ইসলাম

        ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

        ফিরছে নিহত আট বাংলাদেশির কফিনবন্দি লাশ

        বন্যহাতির আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু হলো

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে টাইগারদের জয়

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে টাইগারদের জয়

পরাজয়ের শঙ্কা ছিল। দর্শকদের চোখে-মুখে ছিল আতঙ্ক। কিন্তু শেষটা নিজের পক্ষে নিয়ে নিলেন তরুণ তুর্কি মুস্তাফিজ। তার অসাধারণ বোলিংয়ে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৩ রানের জয় পেল বাংলাদেশ; বেঁচে রইল এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন।

বাংলাদেশের সাত উইকেটে করা ২৪৯ রানের জবাবে আফগানিস্তান ৫০ ওভার খেলে করল ৭ উইকেটে ২৪৬ রান।

আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ ২৫০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় আফগানিস্তানকে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। দলীয় ২৬ রানেই আফগানদের দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।

ব্যক্তিগত ৮ রানে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ বানিয়ে ইহসানউল্লাহ জান্নাতকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান। আর ব্যক্তিগত ১ রানে সাকিবের হাতে রানআউটে কাটা পড়েন রহমত শাহ।

শুরুর ধাক্কা সামলে আফগানদের টেনে তুলার দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ শাহজাদ এবং হাসমতউল্লাহ শাহিদি। বাংলাদেশের বোলারদের দেখে-শুনে ব্যাট চালিয়ে যান তারা। তবে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাহজাদকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্যাক থ্রু এনে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু তার আগেই হাসমতউল্লাহর সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটি উপহার দিয়ে যান শাহজাদ।

ম্যাচের পরের সময়গুলোতে ধীরে ধীরে আফগানরা ব্যবধান কমিয়ে আনতে থাকে। খেলার নাটকীয়তা গড়ায় শেষ ওভারে। জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল আট রান।

টানটান উত্তেজনার সেই ওভারে বল করতে আসেন মুস্তাফিজ। দুর্দান্ত স্লোয়ারে তিনি ফিরিয়ে দেন রশিদ খানকে। এতে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। পরে বাকি কাজটাও সম্পন্ন করেন। পুরো ওভারে মাত্র চার রান দিয়ে খাদের কিনারা থেকে দলকে ভেড়ান জয়ের বন্দরে।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগাররা। টিকে থাকার লড়াইয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা।

দলীয় ১৮ রানেই সাজঘরে ফিরে যান বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আফতাব আলমের শেষ বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে রহমত শাহর তালুবন্দী হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

তিন নম্বরে নেমে এদিনও দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের হতাশ করেন মোহাম্মদ মিথুন। মাত্র দুই বল খেলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ষষ্ঠ ওভারে মুজিব উর রহমানের ভেতরে ঢোকা বল ডিফেন্স করতে গিয়ে এলবিউডব্লির ফাঁদে পড়েন মিথুন। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ৬৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেওয়া মিথুনের ব্যাট থেকে এদিন আসে মাত্র ২ রান।

এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। নেমেই স্পর্শ করেন ওয়ানডেতে ৫ হাজার রানের মাইলফলক। ইনিংসের ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গুলবাদিন নাইবকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তামিম-সাকিবের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, তৃতীয় উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন ৬৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি।

এই জুটি ভাঙেন রশিদ খান। তার প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন লিটন। ১৯তম ওভারে আফগান লেগ স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ইহসানউল্লাহর ক্যাচে পরিণত হন ডানহাতি এই ওপেনার। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ  লিটন এদিন ৪৩ বলে করেন ৪১ রান।

দুই বলের ব্যবধানে রান আউটের শিকার হন সাকিব আল হাসান। রশিদ খানের বলে মিড উইকেটে ঠেলে দিয়েই রানের জন্য দৌড় দেন সাকিব। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

রশিদের পরের ওভারেও ছন্দপতন। এবারও রান আউটের শিকার হন মুশফিক। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন তিনি। মোহাম্মদ নবির থ্রোতে বল ধরে রশিদ স্টাম্প ভেঙে দিলে ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক।

৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেন ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। থিতু হতে খানিকটা সময় নিলেও ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে গড়েন ১২৮ রানের রেকর্ড জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। তাদের আগে ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে ১২৩ রানের অবিচ্ছিন জুটি গড়েছিলেন আল শাহরিয়ার ও খালেদ মাসুদ।

মাহমুদউল্লাহ-ইমরুলের জুটিতেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। জুটি গড়ার পথে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দুজনই। ৫৯ বলে মাহমুদউল্লাহ তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম হাফ সেঞ্চুরি। এরপর ৭৭ বলে ইমরুল পূর্ণ করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম অর্ধ-শতক।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার ছয় নম্বরে নেমেই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান ইমরুল। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ইমরুলের জুটি ভাঙেন আফতাব আলম। তার বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭৪ রান করা মাহমুদউল্লাহ। এরপর সময়ের দাবি মেটাতে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু আফতাবের পরের ওভারে ফিরে যান তিনিও। ৯ বলে ১০ রান করে ফেরেন।

ম্যাচের পরের সময়টাতে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে নিরাপদে কাটান ইমরুল। শেষ পর্যন্ত ৮৯ বলে ৬ চারে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মিরাজও।

আফগানিস্তানের সফল বোলার আফতাব আলম। ৫৪ রানে বাংলাদেশের ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। এ ছাড়া মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান উভয়েই বাংলাদেশের একটি করে উইকেট লাভ করেন।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত