বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
টি-২০তে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ
পাকিস্তান : ১৪১/৫ (২০.০ ওভারে)
বাংলাদেশ : ১৪৩/৩ (১৬.২ ওভারে)ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।শামীম চৌধুরী : সাইদ আজৃমলকে কাভারেবাউন্ডারির চুমোয় সাকিবের উইনিং শটেরসঙ্গে সঙ্গেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামনেচে উঠল আর একবার। ওয়ানডেতে ১৬ বছরেরগিট্টু খুলে পাকিস্তানের বিপক্ষে অন্য একবাংলাদেশ দলের আবির্ভাব, তিন তিনটি বড়জয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাওয়াশ কাব্যরচনার পর টি-২০তেও সেই উজ্জীবিতবাংলাদেশ হাসল বড় ব্যবধানে জয়ে। ২২ বলহাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতে টানা ৮ বছরপাকিস্তানের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত পরিসরেরক্রিকেটে জয়হীন থাকার বৃত্ত ও যে ভাঙতেপারলো বাংলাদেশ দল! অধিনায়কত্ব পেয়েবাংলাদেশ দলের মানসিকতা বদলে নতুনভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার যে সংকল্প নিয়েছিলেনমাশরাফি, টি-২০তে পাকিস্তানের বিপক্ষেইতোপূর্বের ৭ হারের বদলা নিতে পেরে সেসংকল্পই রাখতে পেরেছেন মাশরাফি।পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের রাতে ট্রফিতে হাত দিতে পারেনিবাংলাদেশ দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারহাত থেকে ট্রফি নেয়ার আনুষ্ঠানিকতায়ওয়ানডে’র সঙ্গে টি-২০ ট্রফি জিতে তাতেহাত দিয়ে অন্য এক সুখানুভূতিতে ধন্য ক্রিকেটদল। তিনটি সিরিজের দু’টির ট্রফি জয়ে এখনরইল বাকি শুধুই টেস্ট।টি-২০ বলেই ছিল ভয়, অতীতে পাকিস্তানেরকাছে ৭টি ম্যাচের সব ক’টিতে বড় হারেরসঙ্গে এই ভার্সনের ক্রিকেটে র্যাংকিংয়েবিস্তর ব্যবধানের কথাও আমলে আনতে হয়েছেবাংলাদেশ দলকে। টি-২০’র পরীক্ষিতঅধিনায়ক কাম পারফরমার শহীদ আফ্রিদিওসঙ্গে এই ভার্সনের ক্রিকেটে সেরাবোলারদের সেরা ওমর গুল এবং সাইদ আজমল,অল রাউন্ডার হাফিজ, আর টপ অর্ডার আহমেদশেহজাদ আছেন বলেই ভাবতে হয়েছেবাংলাদেশকে। তার উপর টি-২০তে অতীতবদনামটা (হল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, হংকং এরকাছে হার) তো আছেই বাংলাদেশ দলের। এইভার্সনের ক্রিকেটে গর্বের জয় বলতেআশরাফুল, আফতাবের পারফরমেন্সে ২০০৭ এজোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেসেই কৃতিত্ব যখন ঝাপসা, তখনই এলো গর্বের।অথচ, পাকিস্তানের ১৪১/৫ স্কোরের জবাবদিতে এসে সৌম্য’র রান আউট (০), স্লিপেতামীমের ক্যাচ (১৪) দিয়ে ড্রেসিং রুমেফিরে আসা কিংবা ওয়াহাব রিয়াজের বলেমুশফিকুরের বোল্ড আউটে (১৯) স্কোরশিটেরচেহারা যখন ৩৮/৩, তখন শঙ্কাটাই ছিল বরংবেশি। সেখান থেকে বাংলাদেশকে ম্যাচেফিরিয়েছেন সাকিব-সাব্বির। চতুর্থ জুটিতেবাংলাদেশের সর্বোচ্চ এবং টি-২০’র তৃতীয়সর্বোচ্চ ৬৪ বলে ১০৫ রানের অবিচ্ছিন্নরেকর্ড পার্টনারশিপে ২ জনই উদযাপনকরেছেন ফিফটি। সাকিবের ৬ষ্ঠ টি-২০ফিফটির (৪১ বলে ৫৭) দিনে টি-২০স্পেশালিস্ট সাব্বিরের ৫ম ম্যাচে প্রথমফিফটি (৩২ বলে ৫১)। ৩১ বলে সাব্বিরেরফিফটিই মনে ধরেছে সবার। ওমর গুলের মতোপ্রতিষ্ঠিত পেস বোলারকে দাঁতের গুল বানিয়েএক ওভারে পরপর ৩ বলে ২ বাউন্ডারি একছক্কায় জয়ের আবহ দেখতে থাকা মিরপুরকেউৎসবমুখর করে বাংলাদেশ দল ২২ বল হাতেরেখে করেছে উৎসব।যে উৎসবের আবহটা পেয়েছিল বাংলাদেশ দলঅভিষিক্ত বাঁহাতি পেস বোলার মুস্তাফিজুরেরবোলিংয়ে। বাঁ হাতে বোলিংয়ে সীমেরব্যবহার কতটা নিখুঁত করতে পারেন,বাংলাদেশের জার্সি গায়ে উঠিয়েই সেইবিশেষত্ব জানিয়ে দিয়েছেন সাতক্ষীরার এইছেলেটি। ২ ওভারের প্রথম স্পেলে ১০টি ডটবল (২-০-৫-০)! টি-২০তে ১২ বলের ১০টি ডট!প্রথম শিকারে বেছে নিয়েছেন কাকে,জানেন? টি-২০ স্পেশালিস্ট শহীদআফ্রিদিকে। তার অসাধারণ আউট সুইংয়েআফ্রিদি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে। প্রথমওভারে যে ছেলেটি নির্ভরতা দিতে পারে,তার হাতে ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে দায়িত্বদেয়াটাই যে সমীচীন। শেষ স্পেলে (১-০-৪-১)প্যাডেল সুইপ করতে যেয়ে হাফিজকে প্লাম্বএলবিডব্লিউ’র শিকারে পরিণত করেপ্রকারান্তরে সেটাই জানিয়ে দিতে পেরেছেনমুস্তাফিজুর। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিকম্যাচে ৪-০-২০-২! ২৪টি ডেলিভারির ১৬টিডট! তার এমন বোলিংয়েই পাকিস্তানের মতোটি-২০’র শীর্ষ সারি দলকে ১৪১/৫-এ বেঁধেরাখতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। তাসকিনেরপেস (১/২৯),আরাফাতের স্পিন (১/২৩) এমনকিলং অফে মাশরাফির ক্যাচটিও কম বিনোদনদেয়নি।
শেয়ার করুন