আপডেট :

        শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ভালো করা উচিত: সাকিব

        রিকশাওয়ালাদের গেম শো

        আর্জেন্টিনায় ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত

        সর্বজনীন পেনশন স্কীম কার্যক্রমের উদ্বোধন

        ভুটানের রাজাকে গার্ড অব অনার ও বিদায়ী সংবর্ধনা

        গাজায় মানবিক বিপর্যয় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান

        ভুয়া পিতৃপরিচয় দিয়ে বৃদ্ধের সঙ্গে প্রতারণা

        বাংলাদেশি আমেরিকানদের ভূয়সী প্রশংসায় ডোনাল্ড লু

        মস্কোতে আইএসের হামলা চালানো, বিশ্বাস হচ্ছে না মারিয়া জাখারোভার

        নগরীর অচল ১১০টি সিসি ক্যামেরা হল সচল

        একনেকে ১১ প্রকল্পের অনুমোদন

        স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে সিকৃবিতে আলোচনা সভা

        বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের

        নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মৃত্যু

        বিচারকবিহীন আদালত

        বাংলাদেশের গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার

        সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের মৃত্যু

        জাতীয় ছাত্র সমাজের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

        দ্বিতীয় টেস্টে নেই হাথুরু

        ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২৪’

সামান্য দর্জি থেকে যেভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন ইউসুফ

সামান্য দর্জি থেকে যেভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন ইউসুফ

পাকিস্তানের অন্যতম কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ। পরিসংখ্যান বলছে, টেস্ট ক্রিকেটে সাড়ে সাত হাজারের বেশি (৭৫৩০) এবং ওয়ানডেতে সাড়ে ৯ হাজারের অধিক (৯৭২০) রান করেছেন তিনি। দুই সংস্করণ মিলিয়ে ৩৯ সেঞ্চুরি (টেস্টে ২৪, ওয়ানডেতে ১৫) করেছেন এ টপঅর্ডার। বেশ কিছু রেকর্ডও রয়েছে তার দখলে।

সর্বোপরি পাক ক্রিকেট ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন ইউসুফ। এখনও যেন ধ্রুবতারা হয়ে জ্বলছেন তিনি। কিন্তু তার প্রাথমিক জীবনটা এত সহজ ছিল না। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে, অদম্য মনোবল আর ইচ্ছায়, চরম অধ্যবসায় এবং কঠোর পরিশ্রমের জোরে সাফল্য লাভ করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।

১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরের একটি বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন ইউসুফ। খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম হওয়ায় তার নাম রাখা হয় ইউসুফ ইউহানা। সেখানেই বেড়ে ওঠেন তিনি।

হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন ইউসুফ। স্বভাবতই কাঁচাঘরে তার শৈশবের লড়াই শুরু হয়। বাবা শৌচকর্মী ছিলেন। পরিবার চালানোর মতো খরচ জোগাড় করতে পারতেন না তিনি।

তাই অগত্যা দর্জির দোকানে কাজ শুরু করেন ইউসুফ। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট ভালোবাসতেন তিনি। এটিই ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু ব্যাট কেনার টাকা ছিল না তার। তাই নিজেই আয়-রোজগার করে ব্যাট কেনেন। অতঃপর টেনিস বলে খেলতে শুরু করেন।

পাড়া-মহল্লায় খেলতে খেলতেই চারদিকে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ইউসুফের। সৌভাগ্যবশত একদিন গোল্ডেন জিমখানা ক্লাবে খেলার সুযোগ পেয়ে যান তিনি। এর পর ক্লাবটির দলে খেলারও সুযোগ পান। এক ম্যাচে দলের বাকি সদস্যরা একরকম জোর করে তাকে মাঠে নামিয়ে দেন।

সে ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকান ইউসুফ। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী হয়েও পর্যায়ক্রমে পাকিস্তানের বিভিন্ন ঘরোয়া লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে যান তিনি। একদিন সুযোগ পান জাতীয় দলেও।

দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরু থেকেই ভালো করেন ইউসুফ। ১৯৯৮ সালে অভিষেকের পর ধারাবাহিকতার বিমূর্ত প্রতীক ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে ইসলামধর্ম গ্রহণ করেন ইনফর্ম ব্যাটার। মোহাম্মদ ইউসুফ নাম ধারণ করেন তিনি। এর পর তার ব্যাট যেন আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠে।

২০০৬ সালে টেস্টে ১৭৮৮ রান করেন ইউসুফ। প্রায় ১০০ গড়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে ব্যক্তিগতভাবে যা সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড। এ রকম অসংখ্য রেকর্ড রয়েছে তার ঝুলিতে।

তবে ইউসুফের বিদায়টা ভালো ছিল না। অস্ট্রেলিয়া সফরে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ২০১০ সালের ১০ মার্চ তাকে সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান বোর্ড (পিসিবি)। এর কয়েক দিন পরই মান-অভিমানে ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। পরে পিসিবি ফেরানোর চেষ্টা করলেও প্রত্যাবর্তন করেননি।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত