গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের নাটকীয় জয়
চট্টগ্রাম টেস্টের শেষদিনে কাল চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন উইকেটের জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উপমহাদেশের আরেক ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডিতেও এমন আরেকটি অবিশ্বাস্য জয়ের আশা জাগিয়েছিল দ. আফ্রিকা।
শেষদিন প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ২৪৩ রান। হাতে ছিল নয় উইকেট। ক্রিজে ৫৯ রানে চমৎকার খেলছিলেন আইডেন মার্কারাম। দুর্দান্ত খেললেন মার্কারাম। সেঞ্চুরিও করলেন। কিন্তু তার এই অনবদ্য ইনিংস কোনো কাজে লাগল না। টেলএন্ডারদের ব্যর্থতায় ৯৫ রানে হেরে গেল প্রোটিয়ারা।
নাটকীয় জয় পেল পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের এ জয়ের নায়ক পেসার হাসান আলী। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছেন প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইনআপ। শাহিন শাহ আফ্রিদিও কম যাননি। তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট।
মূলত এ দুই পাক পেসারে হেরে গেল সফরকারীরা।
তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় উইকেটে মার্কারাম-ডুসেনের ৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি চাপে ফেলে দিয়েছে পাকিস্তানকে। আইডেন মার্কারাম ৫৯ ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ৪৮ রানে শেষ দিন শুরু করেন। ডুসেন এক রানও যোগ করতে পারেননি। দিনের শুরুতেই হাসান আলীর বলে বোল্ড হন। এরপর ফাফ ডুপ্লেসি এসে ৫ রান করেই সেই হাসান আলীর শিকারে পরিণত হন।
মার্কারামের সঙ্গে হাল ধরেন তেম্বা বাভুমা। চমৎকার এ জুটি গড়ে লক্ষ্যের দিকে ছুটে চলেছিলেন তারা। কিন্তু শাহীন শাহ কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু এনে দেন। ৬১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তেম্বা।
অন্যপ্রান্তে ওপেনিংয়ে নামা মার্কারাম অবিচল থাকেন। এরপর ফের হাসান আলী অধিনায়ক ডি কককে শূন্যরানে ফেরালে জয়ের আশা অনেকটা ক্ষীণ হয়ে পড়ে।
যদিও মার্কারামের ওপর ভরসা করে এগিয়ে যাচ্ছিল দ. আফ্রিকা। কিন্তু তাকে যোগ্য সঙ্গ দেননি কেউ। ২৪৩ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে হাসান আলীর বলে আউট হন মার্কারাম।
অবশেষে ২৭৪ রানে থেমে যায় দ. আফ্রিকার ইনিংস।
এর আগে ছয় উইকেটে ১২৯ রানে দিন শুরু করা পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৯৮ রানে। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতকের দেখা পাওয়া মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ১১৫ রানে। নবম উইকেটে নোমান আলীকে (৪৫) নিয়ে ৯৭ রান যোগ করেন রিজওয়ান। ৬৪ রানে পাঁচ উইকেট নেন প্রোটিয়া স্পিনার জর্জ লিনডে।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এস
News Desk
শেয়ার করুন