কোয়ার্টারে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড
প্রে ফর কিং- ম্যাচে নামার আগে টুইটারে পেলের জন্য এমনই প্রার্থনা ছিল তাঁর। আর ম্যাচে নামার পর সেই রাজার মুকুটের একটি পালকই নিজের করে নিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ফরাসি ফরোয়ার্ড বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সে ৯ গোল করে পেলের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন। ডি বক্সের মধ্যে থেকে তাঁর দুটি শটেই মুগ্ধতার ঘোর ছিল গ্যালারিতে। পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে দাপটের সঙ্গে হারানোর পর গণকৌতূহল- এই ফ্রান্সকে আটকানোর সাধ্যি কার? দু'ঘণ্টার বিরতিতেই তার উত্তর নিয়ে হাজির ইংল্যান্ড। সেনেগালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে হ্যারি কেইনরা জানান দিয়েছেন, কোয়ার্টারে ফ্রান্সের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তাঁরা। এ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে দাপট তাঁরাও দেখিয়ে চলেছেন। ১০ ডিসেম্বর ইউরোপিয়ান এই দুই দলের টক্কর দেখার অপেক্ষায় থাকবে ফুটবল বিশ্ব।
গতকাল প্রি কোয়ার্টার ম্যাচে প্রত্যাশিত ফলই এসেছে দুই ম্যাচে। পোল্যান্ডকে শুরু থেকেই চাপে রাখা ফ্রান্স প্রথম গোলের দেখা পায় জিরুদের কাছ থেকে। এমবাপ্পের ডিফেন্স চেরা পাস পোলিশ বক্সের সামনে থেকে ধরে চকিতে ঘুরে বাঁ পায়ের শটে জালে বল জড়ান জিরুদ। এই গোলের সুবাদেই ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২টি গোল করার রেকর্ড এখন তাঁর। ৫১টি গোল নিয়ে দ্বিতীয়তে থাকবেন থিয়েরি অঁরি। এর পরই রেকর্ডের পালা আসে এমবাপ্পের সামনে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দেম্বেলের পাস ধরে বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া তাঁর ডান পায়ের নিখুঁত শটে ফ্রান্সের দ্বিতীয় গোল। আর অতিরিক্ত সময়েও একই ধরনের আরেকটি গোল। আগের বিশ্বকাপের চারটির সঙ্গে এবারের পাঁচ। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ২৬ বছর বয়সের পেলে করেছিলেন দুই বিশ্বকাপ মিলে ৮টি গোল। গতকাল ২৩ বছরের এমবাপ্পে সেই রেকর্ড ভেঙে দেন। এই বিশ্বকাপে তাঁর পাঁচ গোলের পাশাপাশি তিনটি করে গোল রয়েছে মেসি, জিরুদ, রাশফোর্ড, মোরাতার। থুমামা স্টেডিয়ামে যখন ফরাসি রেকর্ডের ভাঙা-গড়া ম্যাচেই একটি নীরব বিদায় হয়ে গেল এক তারকা ফুটবলারের।
ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে হাসি মুখেই যেন বিদায় নিলেন পোলিশ ফরোয়ার্ড লেভানডস্কি। রাতের অন্য ম্যাচেও কোনো অঘটনের ইঙ্গিত ছিল না। ফেভারিট ইংল্যান্ড প্রথমার্ধেই জর্ডান হ্যান্ডরসন আর অধিনায়ক হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে যায়। কাউন্টার অ্যাটাকে বেলিংহামের কাছ থেকে পাওয়া পাস জালে জড়িয়ে দেন হ্যান্ডারসন। আর কেইনের গোলটিতে পাস দেন ফিল ফোডেন। তৃতীয় গোলটি করেন ম্যানসিটির ইংলিশ উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। পুরো ম্যাচেই দারুণ সব প্লেসিং করে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে গোলের সুযোগটি কাজে লাগান কেইন, ফোডেনের কাছ থেকে আসা পাস থেকে। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেল এই ইংল্যান্ডই সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ দিতে পারে চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন