এ যেন স্বপ্নের ছবি পর্যন্ত মিলে যাওয়া!
কিছু ছবি চিহ্ন রেখে যায়। কিছু ছবি চিরস্মরণীয় হয়। নতুনদের স্বপ্ন দেখায়। ডিয়াগো ম্যারাডোনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর কাঁধে চেপে শিরোপা উচিয়ে ধরার ছবি তেমনই এক আইকনিক মুহূর্ত। তার মতো শিরোপা জয়, তার মতো শিরোপায় চুমু আঁকা, তার মতো করে বিশ্বকাপ উচিয়ে ধরার স্বপ্ন লিওনেল মেসিও শৈশব থেকেই দেখেছেন। দেখেছেন কোটি ভক্ত।
ওই স্বপ্ন রোববার রাতে পূরণ হয়েছে লিওনেল মেসির। লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। ওই জয়ের পর শিরোপা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মেসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও সাড়া ফেলেছে তাতে দেখা গেছে, কী মায়ায় শিরোপা ছুঁয়ে, কী আদরে চুমু এঁকেছেন তিনি।
এরপর অধিনায়ক মেসির হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশ্বকাপের শিরোপা। সতীর্থ, পরিবারের সঙ্গে ওই শিরোপা নিয়ে উদযাপন করেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমে অনুভূতি জানান। ভক্তদের সঙ্গেও শিরোপা উদযাপন করেন তিনি। যেভাবে যুদ্ধ জয়ের পর রাজাকে মুকুট পরিয়ে কাঁধে চড়িয়ে উদযাপন করা হয়। ঠিক মেক্সিকোয় ১৯৮৬ বিশ্বকাপে যেমনটা করেছিলেন ম্যারাডোনা।
আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের শিরোপা খরা ঘুরিয়েছেন লিও মেসি ও তার দল। তিন যুগ আগে একক নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। মেসিও অনেকটা একাই টেনেছেন দলকে। পূর্বের কোন আসরে নক আউট পর্বে গোল করতে পারেননি লিও। এবার প্রতিটি নকআউট পর্বে গোল করেছেন তিনি। ফাইনালে তার পা থেকে এসেছে জোড়া গোল।
স্বপ্ন ছোঁয়া ওই নায়ককে অভিবাদন জানাতে মাঠে নেমে পড়েন তার শৈশবের বন্ধু কুন সার্জিও আগুয়েরো। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় ফুটবল ছাড়তে হয়েছে তার। নয়তো তিনিও বিশ্বকাপ জয়ী দলের অংশ হতে পারতেন। কুন যেন ওই আক্ষেপ মেটালেন বন্ধু মেসিকে কাঁধে তুলে নিয়ে। বন্ধুর কাঁধে চেপে মেসি উচিয়ে ধরলেন শিরোপা। ঠিক ম্যারাডোনার মতো করে। যেন স্বপ্নে দেখা ছবিও মিলিয়ে দিলেন তিনি!
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন