বিশ্বে ১ কোটি ৪০ লাখ শিশু অপুষ্টির মুখে, মৃত্যুঝুঁকি আছে: ইউনিসেফ
এই মেসিকে কতটা মনে রাখবে পিএসজি
দুটি মৌসুম পিএসজিতে কেমন কেটেছে লিওনেল মেসির? তিন শব্দে উত্তরটা দিলে– মোটেও ভালো নয়! রাজকীয়ভাবে যে মেসিকে বার্সা থেকে বরণ করে নিয়েছিল পিএসজি, সেই মেসি মুখভার করে প্যারিস ছাড়বেন! শনিবার রাতে ক্লেমো ফুটের সঙ্গে শেষ ম্যাচটি খেলেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। শেষটা জয়ে হয়নি। সেটা না হয় নাই গুনলেন। কিন্তু আগের কটা মাস যে মেসির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে, সেটা তো অনেকেরই জানা। কষ্ট চেপে আর চুক্তির টেবিলে বসেননি মেসি। চলে যাওয়ার কথাই জানিয়ে দেন ক্লাবকে।
তাঁর যাওয়ার বেলায় মন কাঁদল সবচেয়ে কাছের বন্ধু নেইমারের। চোটজর্জর এই ব্রাজিলিয়ান নিজের ফেসবুক পেজে এক আবেগি বার্তায় মেসিকে শুভকামনা জানিয়েছেন এভাবে, ‘আসলে আমরা যা ভেবেছিলাম, তেমনটি হয়নি। তবে সব রকম চেষ্টা করেছি। যাক তোমার সঙ্গে দুটি বছর বেশ আনন্দেই কাটল। নতুন ঠিকানায় ভালো থেকো– এটাই এখন চাই। ভালোবাসি তোমায়।’
অবশ্য মেসির খুব বেশি আফসোস থাকার কথা না। পিএসজির সঙ্গে থাকাকালে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন বিশ্বকাপই তো পেয়েছেন। যে স্মৃতি মাথায় নিয়ে না হয় ক্লাবটির বাজে দিকগুলো ভুলে যাবেন মেসি। নেইমারের বার্তায় কেবল শুভকামনা নেই কিছু আড়ালের কথাও রয়েছে। প্রথম দুই লাইনে যেটা বোঝা যায়। হয়তো এভাবে মেসিকে চলে যেতে হবে ভাবেননি নেইমারও। হয়তো তাঁকে রাখতে নেইমারও পিএসজি কর্তাদের বুঝিয়েছেন কিংবা অন্য কিছু।
তবে কিছু একটা যে হয়েছে, সেটা অনুমান করাই যায়। সৌদিতে না বলে ভ্রমণে যাওয়া, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলকে সেভাবে দিতে না পারা। এসব নিয়ে পিএসজির সমর্থকরাও কম করেননি। শেষ দিনও মেসিকে তাঁরা রেহাই দেননি। সুযোগ নষ্ট করায় দুয়ো শুনতে হয় বিশ্বকাপজয়ী দলনেতাকে। তবে সব ভুলতে চেয়েছিলেন সতীর্থরা। ড্রেসিংরুমে তাঁকে এক এক করে জড়িয়ে ধরেন। এমবাপ্পেও ছিলেন সেই কাতারে। দলের মালিক খেলাইফি হাতে তুলে দেন ক্রেস্ট। এসবে কি আর তিক্ততা কমবে মেসির?
শেষ সময়ে আগ্রহ দেখাল নিউক্যাসল-চেলসি শেষদিকে এসে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রিমিয়ার লিগের দুই ক্লাব নিউক্যাসল ও চেলসি। যদিও নিউক্যাসল সৌদি মালিকানাধীন। তাদের কথা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন