এশিয়া কাপে আত্মবিশ্বাস জোগাবে
সাকিবের হাতে জাদুর কাঠি আছে কিনা, জানা নেই। তবে তাঁর ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্কের বিষয়টি কারও অজানা নয়। তিনি মাঠে সব্যসাচী পারফরমার, নেতৃত্বেও সেরা। বাংলাদেশ টি২০ দলের ক্রমোন্নতি এই দাবিকে আরও জোরালো করে। গত বছর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ থেকে দলের নেতৃত্ব বুঝে নেওয়ার পর সাফল্যের ছোঁয়া লেগেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত তিনটি সিরিজ জিততে পারা বড় অর্জন। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ, আয়ারল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারানো এবং গতকাল আফগানিস্তানকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করা সত্যিই গর্ব করার মতো।
চট্টগ্রামে এক দিনের ক্রিকেট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরে বাংলাদেশ সিলেটে এসেছিল দুই ম্যাচ টি২০ সিরিজ খেলতে। এই সংস্করণে আফগানদের বিপক্ষে অতীত রেকর্ড ভালো না থাকলেও অধিনায়ক সাকিব ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। দুটি ম্যাচই জিততে চেয়েছিলেন তিনি। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলও পেয়েছেন। গতকাল ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টি২০ অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। ওদের সঙ্গে টি২০তে আগে খুব একটা ভালো ফল ছিল না। এ রকম একটা সিরিজ জিততে পারলাম, এই কন্ডিশনে– আমার কাছে মনে হয়, এটা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আরও আত্মবিশ্বাস দেবে।’
সাকিব একক খেলোয়াড়ের চেয়ে দলীয় পারফরম্যান্সে গুরুত্ব দেন বেশি। তিন সিরিজ ধরে সেটাই হচ্ছে মাঠে। ১১ জন এক ছাতার নিচে খেলছেন। সাকিবের মতে, ‘যে জিনিসগুলো আমরা পরিকল্পনা করছি, সেগুলো খেলোয়াড়রা মাঠে প্রয়োগ করতে পারছে। এর থেকে ভালো কিছু আর হতে পারে না। তাওহিদ হৃদয় বা যারাই আছে, বিশ্বকাপের পর থেকে খেলছে। বেশির ভাগ গত এশিয়া কাপ থেকে দলে আছে। দু-চারজন আসছে-যাচ্ছে, এটা চলমান প্রক্রিয়া। সেরা কম্বিনেশন খুঁজে পেতে এখনও অনেক কিছু বাকি আছে। এই কন্ডিশনে আমরা ভালো করছি। সামনে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে আরও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। সেগুলোর সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিয়ে ভালো খেলতে হবে।’
কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতো সাকিব আল হাসানও একক কোনো ক্রিকেটারকে প্রশংসায় ভাসাতে চান না। গতকাল তাসকিনের বোলিং মূল্যায়ন করতে বলায় অধিনায়ক প্রশংসা করেন হাসান মাহমুদের। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, তাসকিনের চেয়ে হাসান অনেক বেশি ভালো বল করেছে। যদিও আমি কাউকে নিয়ে বেশি বলতে চাই না। আমরা যে পাঁচ-ছয়জন বোলার আছি, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ব্যাটারদের কাজ সহজ করে দেওয়া। ওটাই আমরা সব সময় চেষ্টা করি। ভালো একটা সমন্বয় হচ্ছে স্পিনার আর পেস বোলারদের। স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। আমি মনে করি, দলের জন্য এটা ভালো দিক।’
বিশ্বের অন্যতম অলরাউন্ডার সাকিব মনে করেন, টি২০ সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে আফগানদের মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে, ‘বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই ওয়ানডে এবং টি২০ দলে থাকে। তাই এই আত্মবিশ্বাস তারা এশিয়া কাপে নিয়ে যেতে পারবে। যেহেতু এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে এদের (আফগানিস্তান) মোকাবিলা করব।’
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন