পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয়ব
পারলেন না ধোনি, জিম্বাবুয়ের রুদ্ধশ্বাস জয়
জয়ের জন্য শেষ বলে প্রয়োজন ৪ রান। স্ট্রাইকে মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমন কত ম্যাচেই তো দলকে জিতিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই আইপিএলে শেষ দুই বলে টানা দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে পুনেকে জয় এনে দিয়েছিলেন। তবে এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ বলে ৪ রানের সমীকরণে ভারত অধিনায়ক তেমন কিছু করে দেখাতে পারলেন না, নিতে পারলেন মাত্র ১ রান। হারারেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে তার দল হেরেছে ২ রানে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে ফরম্যাট বদলে যেতেই যেন জিম্বাবুয়েও বদলে গেল! গত বছর হারারেতে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৪৫ রান করে ১০ রানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। এবার শুরুটাও যেন সেখান থেকেই করল তারা। শনিবার আগে ব্যাট করে এল্টন চিগুম্বুরার ২৬ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ১৭০ রানের পুঁজি পেয়েছিল স্বাগতিকরা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করতে পারে ভারত।
ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে অনায়াসেই হারিয়েছিল ভারত। তিন ম্যাচে ভারতের উইকেট পড়েছিল মাত্র ৩টি। সে জন্যই কিনা শনিবার টি-টোয়েন্টিতে ভারত দলে অভিষেক হলো পাঁচজনের! এই প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (প্রথম ম্যাচ ছাড়া) একসঙ্গে ভারতের পাঁচ ক্রিকেটারের অভিষেক হলো।
ওয়ানেতে রান তাড়া করে জেতায় শনিবার টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ধোনি। তবে চামু চিবাবা ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৩ ওভারে ৩৩ রান যোগ করেন। এরপর সেটিকে টেনে নিয়ে যান সিকান্দার রাজা ও ম্যালকম ওয়ালার। মাসাকাদজা ২৫, চিবাবা ২০, রাজা ২০ ও ওয়ালার করেন ৩০ রান।
আর শেষ দিকে ভারতীয় বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান চিগুম্বুরা। মাত্র ২৬ বলে ৭ ছক্কা ও একটি চারে করেন অপরাজিত ৫৪ রান, জিম্বাবুয়ে পায় ১৭০ রানের লড়াকু পুঁজি।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত, প্রথম বলেই ফিরে যান লোকেশ রাহুল। এরপর মানদীপ সিং (৩১) ও আম্বাতি রাইডু (১৯) ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে মনিষ পান্ডে ভারতকে জয়ের পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ১৪৩ রানে মনিষকে (৩৫ বলে ৪৮) বিদায় করে ম্যাচে ফেরে স্বাগতিকরা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৮ রান, হাতে ৫ উইকেট। নেভিল মাদজিভার করা প্রথম বলে ধোনি নিতে পারেন এক রান। পরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অক্ষর প্যাটেল। তৃতীয় বলে ধোনি স্ট্রাইকে গেলেও মাদজিভার ইয়র্কার থেকে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি। চতুর্থ বলে মাদজিভার আরেকটি ইয়র্কার থেকে কোনো রান নিতে পারেননি রিশি ধাওয়ান। এরপর ওয়াইড থেকে আসে এক রান। পঞ্চম বলে ধাওয়ান এক রান নিলে শেষ বলে স্ট্রাইকে যান ধোনি। শেষ বলে ৪ রানের প্রয়োজনে ধোনি নিতে পারেন মাত্র এক রান, ভারত হারে ২ রানে।
এলএবাংলাটাইমস/এস।এলআরটি
শেয়ার করুন