এলএএক্স-এর পাশে বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রো ট্রানজিট সেন্টার স্টেশন উদ্বোধন
কাঁদলেন কোহলি, ১৮ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হলো বেঙ্গালুরু
অবশেষে ১৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচলো রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর। সেই সঙ্গে স্বপ্ন পূরণ হলো বিরাট কোহলির। এবারের আইপিএলে পাঞ্জাবকে ৬ রানে হারিয়ে দলটি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো।
১৮ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আইপিএল চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। রোমাঞ্চকর ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলল তারা।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯০ রান করে আরসিবি। জবাবে পাঞ্জাব কিংস ১৮৪ রানেই থেমে যায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৯ রান দরকার ছিল পাঞ্জাবের, কিন্তু শশাঙ্ক সিংয়ের দারুণ চেষ্টা সত্ত্বেও পারেননি দলকে জেতাতে।
আরসিবির ইনিংসে রজন পাতিদার করেন ২৬ রান। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। লিয়াম লিভিংস্টোন, মায়াঙ্ক আগারওয়ালরাও ছোট ছোট অবদান রাখেন। শেষদিকে জিতেশ শর্মা ও রোমারিও শেপার্ডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোর দাঁড়ায় ১৯০।
পাঞ্জাবের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন আরশদীপ সিং, তিনি ৩টি উইকেট শিকার করেন। কাইল জেমিসনও ৩ উইকেট পেলে রান দেন অনেক।
১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় পাঞ্জাব। কিন্তু ম্যাচের গতি বদলে দেন আরসিবি স্পিনার ক্রুনাল পান্ডিয়া। নিজের ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি—জস ইংলিশ ও প্রভিশমারান সিংয়ের।
শেষদিকে পাঞ্জাবের জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখেন শশাঙ্ক সিং। ৩০ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি, যার মধ্যে ছিল ৬টি ছক্কা ও ৩টি চার। তবে শেষের দিকে ভুবেন্বশ্বরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আটকে যায় পাঞ্জাবের রানচাকা।
২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬—এই তিনবার ফাইনালে উঠেও ট্রফির স্বাদ পায়নি আরসিবি। এইবার চতুর্থবার এসে ভাগ্য বদলাল। দীর্ঘদিন ধরে দলের আইকন হিসেবে থাকা বিরাট কোহলি ম্যাচশেষে আবেগে ভেসে যান। মাঠেই দেখা যায় তাঁর চোখে জল।
১৭ বছর, ২৯৩টি ম্যাচ, অসংখ্য হৃদয়ভাঙা মুহূর্ত পেরিয়ে এবার আরসিবি সত্যিই ‘এবার আরসিবি’ স্লোগান বাস্তব করল। ট্রফি জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে শুরু হল এক নতুন অধ্যায়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন