দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট
কোচিং দ্বন্দ্বের ছায়ায় ইয়ামালের চোট পুনরায় জটিলতা সৃষ্টি করছে
লামিনে ইয়ামালকে ঘিরে বার্সেলোনা ও স্পেন জাতীয় দলের মধ্যে উত্তেজনা চূড়ায় পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক বিরতির সময় তরুণ তারকাকে ‘আনফিট’ দেখিয়ে বিশ্রামে রাখার পরিকল্পনা করেছিল বার্সেলোনা, যাতে জাতীয় দলের হয়ে না খেলেও তার সম্ভাব্য চোটের ঝুঁকি এড়ানো যায়। কিন্তু ক্লাবের আপত্তি উপেক্ষা করেই স্পেন কোচ ২৬ জনের দলে রেখেছেন ইয়ামালকে।
দল ঘোষণার সময় স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে জবাব দিয়েছেন হ্যান্সি ফ্লিকের করা সমালোচনারও। তবে বার্সেলোনা ও স্পেনের মধ্যকার ইয়ামাল-সংক্রান্ত টানাপোড়েন এখানেই থেমে নেই। সর্বশেষ খবর, দুই দলের কোচদের এই দ্বন্দ্বের মাঝেই ইয়ামাল নতুন করে কুঁচকিতে (মানুষের নিতম্ব বা কোমরের নিচের অংশে একটি হাড়) অস্বস্তি অনুভব করছেন—যা আবারও তার খেলা ও ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপার্তিভো জানিয়েছে, নতুন এই চোটে রোববার সেভিয়ার বিপক্ষে লিগ ম্যাচে বার্সার হয়ে তাঁর মাঠে নামা একরকম অনিশ্চিত। সর্বশেষ পিএসজির বিপক্ষে বার্সেলোনার হারা ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন ইয়ামাল। তবে মাঠ ছাড়ার সময় খোঁড়াতে দেখা যায় তাকে।
স্পেন জাতীয় দল নিয়ে হ্যান্সি ফ্লিকের সমালোচনার পেছনে রয়েছে সেপ্টেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতির ঘটনা। সে সময় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বুলগেরিয়া ও তুরস্কের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে ইয়ামালকে ব্যথানাশক ওষুধ নিতে হয়, যাতে তার পুরোনো কুঁচকির চোট আরও বেড়ে যায়। এই চোটের ধাক্কায় পরবর্তী সময়ে বার্সেলোনার হয়ে ভ্যালেন্সিয়া, হেতাফে ও রিয়াল ওভিয়েদোর বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচ এবং নিউক্যাসলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ মিস করেন ইয়ামাল।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গত মাসে ফ্লিক বলেন, ‘সে জাতীয় দলের সঙ্গে ব্যথা নিয়ে খেলতে গিয়েছিল এবং কোনো অনুশীলনও করেনি। তারা তাকে খেলানোর জন্য ব্যথানাশক দিয়েছিল। দুই ম্যাচে সে ৭৩ ও ৭৯ মিনিট খেলেছে। এমনকি দুই ম্যাচের মধ্যে সে ট্রেনিংও করতে পারেনি। এটাকে খেলোয়াড়ের যত্ন নেওয়া বলে না। বিষয়টি নিয়ে খুবই হতাশ।’
এদিকে আজ স্পেন দল ঘোষণার সময় ফ্লিকের কথার জবাব দিয়েছেন দে লা ফুয়েন্তে। স্পেন কোচ বলেছেন, ‘(ফ্লিকের) ওই মন্তব্যে আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছিলাম। কারণ, তিনিও একসময় জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। আমি ভেবেছিলাম, তাঁর সেই সহমর্মিতা থাকবে। আমি আবারও বলছি, তিনি (জাতীয় দলের) কোচ ছিলেন এবং জানেন খেলোয়াড়েরা কেমন আচরণ করে। তাই আমাকে সবচেয়ে অবাক করেছে এই বিষয়টা—একজন সাবেক কোচের কাছ থেকে এমন কথা শোনা।’
এরপর ইয়ামালকে খেলানোর মরিয়া মনোভাবের কথা স্পেন কোচ প্রকাশ করেন এভাবে, ‘আমরা বিশ্বকাপের জন্য খেলছি, সেটাই আসল বিষয়। বাকিগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
দুই কোচ এখন যতই কথার লড়াইয়ে নামুন, ইয়ামালের নতুন চোট দুজনের কপালেই চিন্তার ভাঁজ বাড়াবে। ইয়ামালের মতো ম্যাচ উইনারকে না পেলে অস্বস্তি নিয়েই যে ডাগআউটে দাঁড়াতে হবে ফ্লিক ও ফুয়েন্তেকে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন