বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
বর্ষসেরা রোনালদো
চার বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যালন ডি'অর জিতে নিয়েছিলেন গত বছর। সোনালি ট্রফি সামনে রেখে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বলেছিলেন, আগামীবার আমি জুরিখে ফিরে আসব তৃতীয় ব্যালন ডি'অর জেতার জন্য। কথা রেখেছেন সিআর সেভেন। পুরো বছর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ঠিকই জুরিখে ফিরে রোনালদো তৃতীয়বারের মতো জয় করে নিয়েছেন ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার- ব্যালন ডি'অর। ফিফার সদস্য দেশের কোচ, অধিনায়ক এবং মনোনীত সাংবাদিকদের ভোটে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচন করা হয়েছে। গতকাল রাতে জমকালো এক অনুষ্ঠানে রোনালদোর হাতে ২০১৪ সালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। গালা রাউন্ডে চূড়ান্ত তিনে রোনালদোর সঙ্গে ছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি ও বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। দু'জনকেই ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। তবে নুয়্যার না পারলেও খালি হাতে ফেরেনি জার্মানরা। সেরা কোচ, নারী ফুটবলারসহ একাধিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার গেছে বিশ্বকাপজয়ীদের হাতে।
২০১৪ সালে ফুটবলের সেরা নৈপুণ্যের স্বীকৃতি দিতে সুইজারল্যান্ডের জুরিখের ফিফা সদর দপ্তরে আয়োজন করা হয় গালা অনুষ্ঠানের। সেরা ফুটবলারের পাশাপাশি এতে দেওয়া হয়েছে সেরা কোচ, সেরা নারী ফুটবলার, সেরা গোলসহ আরও কয়েকটি পুরস্কার।
সেরা কোচের পুরস্কার জিতেছেন জার্মানিকে ২৪ বছর পর বিশ্বকাপ জেতানো কোচ জোয়াকিম লো। চূড়ান্ত লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই কোচ ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো আনচেলত্তি এবং অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের দিয়েগো সিমিওনে। এ ছাড়া নারী বিভাগে সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছেন জার্মানি জাতীয় নারী দলের রালফ কেলেরমান।
বিশ্বকাপে উরুগুয়ের বিপক্ষে কলম্বিয়ান তারকা হামেশ রদ্রিগেজের চোখজুড়ানো গোলটি স্বীকৃতি পেয়েছে পুসকাস সেরা গোল হিসেবে। এজন্য তাকে টপকাতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের ফন পার্সি ও আয়ারল্যান্ডের নারী ফুটবলার স্টিফানি রোচিকে। ব্রাজিলের মার্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাবি্ব ওয়ামবাচকে ছাপিয়ে বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন জার্মানির নাদিন কেসলার।
রোনালদোর ব্যালন ডি'অর জয়ের মাধ্যমে একটা চক্র রয়ে গেল। ২০০৮ থেকে শুরু করে প্রতি বছরই পুরস্কারটা হাতে তুলছেন হয় রোনালদো, নয়তো মেসি। এই সাত বছরে মেসির হাতে ব্যালন ডি'অর গেছে চারবার। আর রোনালদোর তিন। সেরা তিনের বাকি প্রতিযোগীকে প্রতিবারই ফিরতে হয় তৃতীয় হয়ে। এবার ভালো সম্ভাবনা ছিল ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের।
জার্মান গোলরক্ষকের হাতে বর্ষসেরার পুরস্কার দেখতে চেয়েছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনাসহ অনেকেই। ১৯৬৩ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গোলরক্ষক লেভ ইয়াসিন ছাড়া আর কোনো গোলরক্ষকের হাতে ওঠেনি ব্যালন ডি'অর। ন্যুয়ারের মতো সেরা তিনে ছিলেন তার স্বদেশি অলিভার কান আর ইতালির জিয়ানলুইজি বুফন।
তবে ন্যুয়ার তো বটেই, মেসিকেও ছাড়িয়ে গেছেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদো। ব্রাজিল বিশ্বকাপে পর্তুগালের হয়ে আলো ছড়াতে না পারলেও রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে বছরজুড়ে ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। এই সময়ে ৪৩ ম্যাচ খেলে ১৭ গোলে সহায়তার পাশাপাশি নিজে করেছেন ৫২ গোল।
গোলপ্রতি সময় নিয়েছেন ৭১.৬ মিনিট। ক্লাব ক্যারিয়ারে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, কোপা দেল রে, ইউরোপা সুপার কাপ আর ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা। একই সময়ে তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির গোল সংখ্যা ৪৯, ম্যাচ খেলেছেন ৫৩টি। ৯৬.৯ গড়ে সময় নিয়ে গোল করা মেসি সহায়তা করেছেন সতীর্থদের ১৭ গোলে।
শেয়ার করুন