আপডেট :

        ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানল, ৫ জনের মৃত্যু

        গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস

        ইসরায়েলে মার্কিন গোলাবারুদের একটি চালান থামাল বাইডেন প্রশাসন

        জো বাইডেন ‘গেস্টাপো প্রশাসন’ চালাচ্ছেন, অভিযোগ ট্রাম্পের

        বাংলাদেশি তরুণ উইন নিহতের ভিডিও প্রকাশ

        টাইটানিক সিনেমার অভিনেতা বার্নার্ড হিল মারা গেছেন

        অধ্যাপকের পাঁজরের ৯টি হাড় ও হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ

        ব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষব্রাজিলে বন্যায় ৭০ হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া

        দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়

        উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) তালিকা প্রস্তুত

        সৌদি আরবে তেলের দাম বৃদ্ধি

        রাশিয়ায় বিমান হামলা, নিহত ৭

        শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে বয়সসীমা বাড়ানোর একটি পত্র পেয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

        ৫ মে বৈশ্বিক এই আসরের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি

        বিলাসবহুল রেল স্টেশন পরিণত হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রে, চলে গেছে টিকটকাদের দখলে

        ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড’ স্লোগানে ছাত্রলীগ

        ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

        নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

        অফিস শেষে নিমন্ত্রণ রক্ষায় করনীয়

        আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই

ইতালীতে দু’টি শহীদ মিনারেরই বেহাল অবস্থা

ইতালীতে দু’টি শহীদ মিনারেরই বেহাল অবস্থা

ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের পর ১ম এবং ২য় স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মিত হয় ইতালীতে। তবে সঠিক যত্ন ও তদারকির অভাবে ২টি শহীদ মিনারই এখন ধ্বংসের মুখে।

ইতালীতে স্থায়ীভাবে প্রথম শহীদ মিনারটি নির্মিত হয় অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের পাড়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বারিতে ২০১০ সালে। আর ২০১১ সালে রোমের পারিওলিতে লারগো বাংলাদেশ বা বাংলাদেশ চত্বরের পাশে তৈরি হয় ইতালির দ্বিতীয় স্থায়ী শহীদ মিনার।

বারি‘র এই শহীদ মিনার ২০০৮ সালে নির্মানের অনুমতি মেলে এবং বরাদ্দকৃত স্থান লারগো দু যোন পার্কে দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। যা ২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ততকালীন ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী এই শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অন্যদিকে রোমে স্থায়ী শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় ২০১১ সালে এবং সে বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি তা উদ্বোধন করেন ততকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনি। এর দু’দিন পর একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে ওই শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনায় অংশ নেন ইতালি সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মিস স্টেফানিয়া গ্যাব্রিয়েলা অ্যানাস্তাসিয়া ক্র্যাক্সি।

ঢাকার জাতীয় শহীদ মিনারটির একই আদলে তৈরি হয় রোমের শহীদ মিনার। এর নকশায় মাঝের স্তম্ভটিতে রয়েছে বাংলায় ‘মা’ কথাটি খোদাই করা লেখা। এই নকশার আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, শহীদ মিনারে বিশ্বের ৫০৭টি ভাষার নাম লেখা আছে।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে দুইটি স্থায়ী শহীদ মিনারই সঠিক তত্বাবধানের অভাবে প্রায় ধ্বংসের মুখে।
বর্তমানে বারি শহরের স্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের সম্মান জানানোর অবস্থা থাকলেও রোমের স্থায়ী শহীদ মিনারে প্রায় ৪ বছর ধরে শহীদদের সম্মান জানানো হচ্ছে না।

দূতাবাস থেকে বিভিন্ন সময় উদ্দ্যোগ নেয়ার কথা জানালেও বাস্তবে তা এখনো মুখথুবরে পড়ে আছে ধ্বসে যাওয়ার মাটির শেষাংশে।

রোমের বাংলাদেশীদের অহংকার করা ভাষা আন্দোলনের নিদর্শন সম্মান জানানো পরিবর্তে পরে আছে পরিত্যাক্ত অবস্থায়। এ অবস্থা থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার প্রতি প্রবাসীদের আহ্বান যতদ্রুত সম্ভব এই শহীদ মিনারকে রক্ষা করা।


এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত