লস এঞ্জেলেসের বাজেট ঘাটতির কারণে নিজের বেতন কমাবেন মেয়র কারেন বেইজ
ওয়ারেন বাফেটের অবসরের ঘোষণা: বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের নতুন সিইও গ্রেগ অ্যাবেল
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
বিখ্যাত বিনিয়োগকারী এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ওয়ারেন বাফেট (৯৪) অবশেষে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের প্রধান নির্বাহীর (সিইও) পদ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস-চেয়ারম্যান গ্রেগ অ্যাবেলের কাছে।
ওমাহায় বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের বার্ষিক সভায় এই ঘোষণা দিয়ে বাফেট বলেন, "আমার মনে হচ্ছে, এখন সময় হয়েছে গ্রেগের এই দায়িত্ব নেওয়ার।" তিনি আরও জানান, তাঁর এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আগেই কেবল তাঁর দুই সন্তান হাওয়ার্ড ও সুজি বাফেট জানতেন।
ঘোষণার পর উপস্থিত প্রায় ৪০ হাজার দর্শক করতালিতে ফেটে পড়েন, যার উত্তরে বাফেট কৌতুক করে বলেন, "এই উচ্ছ্বাসের মানে দুইভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে!"
গ্রেগ অ্যাবেল, যিনি ২০২১ সালেই বাফেটের হাতে বাছাই হয়েছিলেন উত্তরসূরি হিসেবে, এই ঘোষণায় কিছুটা বিস্মিতই হন বলে জানা গেছে। যদিও চার বছর আগে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন বাফেট অবসরের কোনও ইঙ্গিত দেননি।
বাফেট বলেন, "আমি বার্কশায়ারের একটি শেয়ারও বিক্রি করব না। এগুলো দান করে দেওয়া হবে।" তাঁর এই ঘোষণায় দর্শকদের মধ্যে উৎসাহের ঝড় ওঠে।
অ্যাপল সিইও টিম কুক এক্স/টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, "ওয়ারেনের মতো কেউ নেই। তাঁর প্রজ্ঞা আমার মতো অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। গ্রেগ অ্যাবেলের নেতৃত্বে বার্কশায়ার দুর্দান্তভাবে এগিয়ে যাবে, এতে কোনও সন্দেহ নেই।"
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে বর্তমানে ৬০টিরও বেশি কোম্পানির মালিক, যার মধ্যে আছে জাইকো (Geico), ডিউরাসেল (Duracell), এবং ডেইরি কুইন (Dairy Queen)। এছাড়াও অ্যাপল, কোকা কোলা, ব্যাংক অব আমেরিকা ও আমেরিকান এক্সপ্রেসের মতো বৃহৎ কোম্পানিতেও রয়েছে তাদের বড় অংশীদারিত্ব।
সম্প্রতি ব্লুমবার্গ ওয়ারেন বাফেটকে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে, যার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ছোটবেলায় মাত্র ৬ বছর বয়সে উপার্জন শুরু করা বাফেট ১১ বছর বয়সে প্রথম শেয়ার কেনেন এবং ১৩ বছর বয়সে প্রথম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেন।
বহু সম্পদ অর্জন করলেও বাফেট বিগত ৬৫ বছর ধরে একই সাধারণ বাড়িতে বসবাস করছেন ওমাহায়।
সভায় বাফেট আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়েও মত দেন। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতির সমালোচনা করে বলেন, "বাণিজ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। আমেরিকার উচিত বাকি বিশ্বের সঙ্গে সহযোগিতামূলক বাণিজ্যে অংশ নেওয়া।"
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন