করোনায় সর্বোচ্চ মৃত জানুয়ারিতে, তবে কমছে সংক্রমণ
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। অন্য ভাবে বললে, করোনায় সবচেয়ে প্রাণঘাতি মাস হলো এই জানুয়ারি।
কোভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্ট অনুসারে, জানুয়ারি মাসে ৯৫ হাজার ১৩ জন বাসিন্দা করোনায় মারা গেছেন। এর আগে সর্বোচ্চ মৃতের মাস গত বছরের ডিসেম্বর ছিলো।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি জানাচ্ছে, গত ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিলো ৭৭ হাজার ৪৮৬ জন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আক্রান্ত ও হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে। গত দুই মাস পর প্রথমবারের মতো হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা এক লাখের নিচে নেমে এসেছে৷
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালজুড়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিলো ৯৭ হাজার ৫৬১ জন।
তবে আক্রান্ত ও শনাক্তের সংখ্যা কমলেও খুব দ্রুত থেমে যাবে না মৃত্যুর সংখ্যা। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, আগামী দুই মাসে আরো এক লাখ বিশ হাজার বাসিন্দার মৃত্যু হতে পারে।
ফলে বাসিন্দাদের আরো সতর্কভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। প্রয়োজন হলে একের অধিক মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা আবশ্যক।
এদিকে, আসন্ন দিনগুলোতে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে করোনার নতুন স্ট্রেইনগুলো। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে 'যুক্তরাজ্যের' নতুন স্ট্রেইনে আক্রান্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) কাউন্টি পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নতুন স্ট্রেইনে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী শনাক্ত হওয়ার মানে হলো এই ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷
শনিবার লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৯১৮ জন। এছাড়া মারা গেছে ৩১৬ জন। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ১৬ হাজার ৬৪৭ জন। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ১১ হাজার ৮৯ জন।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা গত সপ্তাহের থেকে আগের থেকে অনেক কমেছে। গত সপ্তাহে আক্রান্তের হার ছিলো ১৫ শতাংশ। এই সপ্তাহে আক্রান্তের হার হলো ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
তবে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৬৯ জন বাসিন্দা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ২৬ শতাংশ বাসিন্দা জরুরি বিভাগে ভর্তি রয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন