করোনার দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক জটিলতাগুলো কী? জেনে নিন!
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
করোনা সংক্রমিত হলে একজন রোগীর শরীরে কী লক্ষণ দেখা দেয়, তা আমরা জানি। সাধারণত জ্বর, শীত শীত অনুভূত হওয়া, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাংসপেশী-মাথা-গলা ব্যথা, ঘ্রাণ ও স্বাদের অনুভূতি লোপের মত তাৎক্ষণিক ও স্বল্পমেয়াদী উপসর্গ দেখা দেয়- এমনটাই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তবে করোনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের কথাও উঠে এসেছে গবেষণায়। দেখা গেছে, কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পরও অনেক মানুষ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, জাপান, কোরিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে বেশ কয়েকটি জরিপে করোনার বেশ কতগুলো দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব দেখা গেছে। করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরও এই যে দীর্ঘস্থায়ী বিবিধ প্রভাব শরীরে থেকে যাচ্ছে, তাকে এককথায় ‘লং কোভিড’ নামে অভিহিত করা হচ্ছে।
করোনার শারীরিক দীর্ঘমেয়াদী কিছু প্রভাবের মধ্যে রয়েছে ফুসফুসে জটিলতা, মানসিক বিভ্রান্তি ও অন্য অনেক সমস্যা৷
জেনে নিন দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক কী জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে-
পোস্টভাইরাল ফ্যাটিগ সিনড্রোম: করোনা থেকে সেরে উঠার পর প্রচণ্ড দুর্বল লাগা, অবসাদ বা ক্লান্তি বোধ হওয়া, মাথাঘোরা, মাথাব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, হাত-পা অবশ অবশ ভাব, ঝিঁঝিঁ লাগা, মাংসপেশি, হাড় বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, কোমরে ও মেরুদণ্ডে ব্যথা, অরুচি, অস্থিরতার মতো কিছু লক্ষণ দেখা যায়।
শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা: করোনার ভাইরাসটি প্রথমে মানবদেহের শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে ফুসফুসের। কিছু ক্ষেত্রে ফুসফুসে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষত কিংবা দাগ বসে যেতে পারে।
ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়, তাতে শরীরের অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়। বিশেষ করে যাদের সংক্রমণ তীব্র ছিল, যারা আইসিইউতে থেকেছেন, তাদের শ্বাসক্রিয়া আবার স্বাভাবিক হতে বেশ সময় লাগে।
কিডনি ও লিভারের সমস্যাঃ বিশেষত যারা আগে থেকেই কিডনি, লিভারের বিভিন্ন রোগে ভোগেন, তাদের অনেকের করোনা সংক্রমণের ফলে কিডনি বা লিভারের ওপর সাময়িক বা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ায় এসব প্রত্যঙ্গ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। তাই পরবর্তী সময়ে লিভার বা কিডনি রোগীদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন