শুধু সুরক্ষা নয়, ফাইজারের টিকা কমায় সংক্রমণ: গবেষণা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
করোনা থেকে সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি করোনার সংক্রমণও অনেক কমিয়ে দেয় ফাইজারের টিকা, এমনটাই উঠে এসেছে গবেষণায়।
ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে ইসরায়েলের দুইটি প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ফাইজারের টিকা নেন এবং এর পরে করোনা আক্রান্ত হোন, তাদের শরীরে করোনার ভাইরাসের পরিমাণ যারা টিকা দেয়নি তার থেকে অনেক কম থাকে।
সান্তা ক্রুজ ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ইনফেকশাস ডিজিজ রিসার্চার মার্ম কিলপ্যাট্রিক বলেন, এর মানে যারা এখনো টিকা নেননি, তারাও যারা টিকা নিয়েছে তাদের থেকে সুরক্ষিত থাকবে'।
তিনি যোগ করেন, 'যতো বেশি মানুষকে ফাইজারের ভ্যাকিসন দেওয়া হবে, ততো বেশি মানুষের আগের থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যাবে'।
তবে এখনো ঠিক কতোটা সংক্রমণ কমিয়ে আনতে পারে বা ঠিক কতোটা সংক্রমণ ছড়াতে পারে- এটি এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। এর কারণ হচ্ছে মানুষের শরীরের ভাইরাল লোড একেকজনের দেহে একেক রকম।
এছাড়া সুরক্ষা ঠিক কতোটুকু সময় ধরে দিবে কিংবা দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর ভাইরাল লোডের কোনো তারতম্য হবে কী না- সেটি গবেষণায় জানা যায়নি।
এদিকে, এর আগে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সূত্র জানিয়েছে, করোনার দুই ডোজ টিকা নেয়ার পর কেউ করোনায় সংক্রমিত অন্য কারো সংস্পর্শে আসলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
তবে টিকাগ্রহিতার শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পেলেই শুধু এই পরামর্শ মানা যাবে বলেও সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ফাইজারের টিকা নেওয়ার পর করোনার সংক্রমণ এবং এর শঙ্কা অনেক কমে যায়। এটি লক্ষণ প্রকাশের ক্ষেত্রেও কার্যকরী। তাই টিকার দুই ডোজ নেয়া থাকলে এবং শরীরে করোনার লক্ষণ না থাকলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
তবে লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবশ্যই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে সতর্ক করে সিডিসি জানায়, বিনা কারণে কোয়ারেন্টাইন অমান্য করলে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরো বেড়ে যাবে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন