রান্নার উপকরণ সংরক্ষণের কৌশল
রান্নার অপরিহার্য একটি উপাদান হলো মসলাপাতি। বলা চলে, মসলার গুণে গুণান্বিত হয়ে ওঠে রান্না করা খাবার। আর মসলার এই অনন্য গুণটি নষ্ট হয়ে যায় সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে। এছাড়াও রান্নার আরও উপাদান সংগ্রহ ও ব্যবহারে কার্যকর কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন সহজেই। যা দিনশেষে আপনারই লাভের কারণ হবে। তাই আসুন জেনে নিই তেমন কিছু টিপস—
১. গরম মসলা ও গোটা জিরা কৌটাতে ভরে রোদের মধ্যে রাখবেন না, এতে ফ্লেভার নষ্ট হয়ে যায়। তাই র্যাকের মধ্যে এই ধরনের মসলা ভরে রাখুন।
২. ডালে প্রায়শই পোকা লেগে যায়। অল্প কয়েক ফোটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে এয়ারটাইট কন্টেইনারে ডাল স্টোর করুন।
৩. লঙ্কা গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া শুকনো খোলায় ভেজে নিয়ে স্টোর করুন। বেশিদিন তাজা থাকবে।
৪. বাটা মশলা স্টোর করতে উপরে লবণ ছড়িয়ে স্টোর করুন। বেশ কয়েকদিন ভালো থাকবে।
৫. আদা-লঙ্কা আলাদা আলাদা করে বেটে আইস ট্রেতে ভরে ফ্রিজে রাখুন। এই ফ্রোজেন কিউবগুলো জিপ লক ব্যাগে স্টোর করুন। তারপর লেভেল করে রাখুন। যা চটজলদি গ্রেভি তৈরি করার জন্য দারুণ কাজে দেয়।
৬. চিনি গুঁড়া করে ভরে রাখুন। গুঁড়া চিনি পাত্রের তলায় জমে যায় না। এ ছাড়া গুঁড়া চিনি বরফ ঠাণ্ডা জলেও সহজে গলে যায়। ফ্রুট জুস বানাতেও এর জুড়ি নেই।
৭. চা পাতা স্টোর করার আগে রোদে শুকিয়ে নিন। চা বেশিদিন তাজা থাকবে। এছাড়া চায়ের স্বাদও ভালো হবে।
৮. কর্পূরের শিশিতে কয়েকটা গোলমরিচ রাখুন। কর্পূরের গন্ধ উবে যাবে না, কর্পূর গলে যাবে না।
৯. কারিপাতা শিশিতে ভরে রাখলে শুকিয়ে যায়, টেস্টও নষ্ট হয়ে যায়। তাই কারিপাতা ধুয়ে নিয়ে ১-২ চামচ তেলে মুচমুচে করে ভেজে গুঁড়া করে নিন। এয়ারটাইট বোতলে এই কারি পাউডার ভরে রাখুন। তাজা থাকবে। এভাবে পুদিনা পাতাও স্টোর করে রাখতে পারেন।
১০. সল্ট শেকারের মধ্যে নুনের সঙ্গে কয়েকটা চাল মিশিয়ে রাখুন। সহজে নুন বেরিয়ে আসবে।
১১. ভিনিগার অথবা তেলের জারে স্টোর করুন ফ্রেস হার্বস।
১২. বেশ কয়েকবছর আমন্ড স্টোর করে রাখতে চাইলে ২-৩ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে আমন্ড স্টোর করুন।
১৩. চালের মধ্যে কয়েকটা নিম পাতা দিয়ে স্টোর করুন। পোকা লাগবে না। গমের মধ্যে শুকনো মেথি বা মোটা দানার নুন বা নিমপাতা দিয়ে স্টোর করুন।
শেয়ার করুন