বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের জয়
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও জয় পেয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের দেয়া ১৬৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৫ রান করতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। ফলে ৪২ রানের দাপিুটে জয় পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে সাব্বিরের শেষ বলে ক্রেমার আউট হলে আট উইকেট হারিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। ফলে এ ম্যাচেও সহজেই জয় পায় টাইগাররা।
রবিবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাটিংয়ে নামেন টাইগারদের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।
প্রথম ৫ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৪০ রান। দুর্দান্ত শুরু করেন তামিম-সৌম্য। তবে, ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে তামিম ব্যক্তিগত ২৩ রান করে বিদায় নেন। ১৭ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকানো তামিমের ইনিংস শেষ হয় মুজারাবানির বলে ভিটোরির তালুবন্দি হয়ে।
তামিম ইকবাল ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। তবে, গ্রায়েম ক্রেমারের করা ইনিংসের দশম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে বিদায় নেন তিনি। ম্যালকম ওয়ালারের হাতে ধরা পড়ার আগে সৌম্য ৩৩ বলে চারটি চার আর তিনটি বিশাল ছক্কা হাঁকান।
সৌম্যর বিদায়ে ব্যাটিংয়ে আসা মাহামুদুল্লাহ রিয়াদও (১ রান) দ্রুত ফিরে যান। এগারোতম ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
দলীয় ৭৬ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতনের পর রানের চাকা ঘোরান মুশফিকুর রহিম এবং সাব্বির রহমান। ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা। তবে, পায়ের পেশীতে টান পড়ায় ১৬তম ওভারের পর মাঠ ছাড়েন ২৪ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম। ২০ বলে তিনি তার ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন।
মুশফিকের মাঠ ত্যাগে ব্যাট হাতে নামেন সাকিব আল হাসান। অপরাজিত থাকা সাকিব খেলেন ২৭ রানের দারুণ একটি ইনিংস। তার ১৭ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চার আর একটি ছক্কা। আর সাব্বির রহমান ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ৩০ বলে একটি চার আর তিনটি ছক্কা হাঁকান সাব্বির।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়েও পায় দুর্দান্ত সূচনা। ওপেনিং জুটি থেকেই তারা ৫০ রান তুলে নেয়। তবে, ইনিংসের সপ্তম ওভারে মাশরাফি বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন ভুসি সিবান্দাকে (২১)। মাশরাফি জিম্বাবুয়ের ওপেনার সিবান্দাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর সাব্বির বোলিং আক্রমণে এসে ফিরিয়ে দেন আরেক ওপেনার মাসাকাদজাকে (৩০)।
সফরকারীদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৬৫ রানের মাথায়। শুভাগত হোমের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ৭ রান করা শন উইলিয়ামস। পরে মুতুম্বামিকে ফিরিয়ে দেন সাব্বির।
দলীয় ১৬তম ওভারে আক্রমণে এসে আল আমিন হোসেন ফেরান ২১ বলে ২৯ রান করা ম্যালকম ওয়ালারকে। পরের ওভারে মুস্তাফিজ বোল্ড করে স্টাম্প উড়িয়ে দেন মাদজিভার। একই ওভারে মুস্তাফিজ ক্লিন বোল্ড করেন পিটার মুরকে।
টাইগারদের হয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন সাব্বির। মুস্তাফিজ পান দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট পান শুভাগত, আল আমিন আর মাশরাফি।
এর আগে প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী জয় পায় টাইগাররা। স্প্রিং বকদের ৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে হারায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। দুই দলের মুখোমুখি সাতবারের দেখায় জয়ের পাল্লা টাইগারদের দিকেই। সাত টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ৫টিতেই জিতলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মতুর্জা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শুভাগত হোম, মুস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন।
জিম্বাবুয়ে দল: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), ভুসি সিবান্দা, পিটার মুর, শন উইলিয়ামস, গ্রায়েম ক্রেমার, ম্যালকম ওয়ালার, ব্রায়ান ভিটোরি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, মাদজিভা ও মুজারাবানি।
শেয়ার করুন