ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের সব আরোহী নিহত
‘সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক’ কর্মশালা
সিলেটে ‘সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক’ এক প্রাণবন্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ।কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে আইনের কোনো কমতি নেই। কিন্তু আইন সম্পর্কে সচেতনতার অভাব প্রকট। এতে সঠিক আইনের অনুশীলন এবং প্রয়োগ আশানুরূপ নয়। অথচ আইনের যথাযথ অনুশীলন ও অনুসরণ হলে মানুষ সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার পাবে। সমাজ তাতে আলোকিত হবে। রাষ্ট্র তাতে পূর্ণাঙ্গতা লাভ করবে।
শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। কর্মশালায় সিলেট জেলার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।কর্মশালায় আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্পের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কে চমৎকার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আবু কাউছার।অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শায়লা শারমিন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের প্রতিনিধি সাহাব উদ্দিন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ প্রমুখ।
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনকালে যুগ্মসচিব ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বলেন, আইন জেনে এবং আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে অন্যায় প্রতিরোধ করতে হবে। অন্যের প্রতি অন্যায় দেখেও যদি আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে বাধা না দেয়া হয় তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়। তিনি জানান, সরকার একটি ‘ফ্রিকোয়েন্টলি আস্ক কোয়েশ্চন’ নামে একটি অ্যাপ চারু করতে যাচ্ছে। যেখানে প্রশ্ন করলেই তাৎক্ষণিক উত্তর পেয়ে যাবেন যে কেউ।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শায়লা শারমিন বলেন, অনেক আইন আছে, সেগুলো কার্যকর নেই কিংবা প্রয়োজন পড়েনি। তাই আইন সম্পর্কে সবার সচেতনতা প্রয়োজন সবার আগে। তিনি বলেন, বিচারে কেন দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে, এর জন্য বিশেষ গবেষণা ও প্রকল্প নেয়া উচিত। একইসাথে আই প্রণয়নের আগে অবশ্যই গবেষণা হওয়া উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ রাসেল হাসান বলেন, নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারগুলোতে নিশ্চিতে সকলকে সচেতন হতে হবে, একযোগে কাজ করতে হবে। আইন সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে এবং তা বাস্তবায়নে একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। তবেই একটি সুন্দর বাংলাদেশ গঠন সম্ভব।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন