আপডেট :

        গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে রাতে

        ২ হাজার ডলার দাম কমলো টেসলা গাড়ির

        যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

        মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী দুই দেশ—ইরান ও ইসরায়েলকে নিয়ে মহাবিপত্তিতে আছে জর্ডান

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        বিনা ভোটে জিতে বললেন, ‘মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি’

        অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার সুদ বা মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার

        পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান

        ভারতের লাদাখের রাজধানী লেহতে আমরণ অনশনে সোনম ওয়াংচুক

        ভারতের লাদাখের রাজধানী লেহতে আমরণ অনশনে সোনম ওয়াংচুক

        শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার

        কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আলী আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ

        ক্যাসিনোকাণ্ডের প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন

        যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিপরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের বিল পাস

        ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, পুলিশের ধরপাকড়

        দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে

        রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফের আরও ৭ সহযোগী গ্রেপ্তার হলেন

        স্বর্ণের দাম কমলো

        ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প এবং সেটি দেখতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষন

দিন শেষে সবাই জয়টাই দেখতে চায় : সাইফউদ্দিন

দিন শেষে সবাই জয়টাই দেখতে চায় : সাইফউদ্দিন

স্পিনারদের রাজ্যে পেসাররাও কম যায়নি। প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ তিন উইকেট মোস্তাফিজের। দুটি উইকেট নিয়েছিলেন আরেক পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। বাকি পাচ উইকেট নিয়েছিলেন তিন স্পিনার ভাগাভাগি করে। স্পিন স্বর্গে উইকেট পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত সাইফউদ্দিন। এমনটির ধারাবাহিকতা তিনি ধরে রাখতে চান বাকি ম্যাচগুলোতেও।

প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে এক প্রকার উড়িয়ে জিতেছে বাঙলাদেশ। শুক্রবার বিকেলে দ্বিতীয় ম্যাচ। সেখানেও জয়ের জন্য পাখির চোখ করে আছে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগেরদিন বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন সাইফউদ্দিন। তারো এক কথা, প্রতিপক্ষ যেই হোক, সবাই কিন্তু দিন শেষে জয়ই চায়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই।

সাইফউদ্দিন বলেন, ‘দেখেন আমরা যখন ম্যাচ জিতি তখন আমরা ক্রিকেটাররা না সারা দেশবাশীই খুশি হয়। দিন শেষে আসলে সবাই বাংলাদেশের জয়টাই দেখতে চায়। হয়ত কন্ডিশন একটু ভিন্ন বা হয়তবা কম রান হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অনুযায়ী। কিন্তু আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলি। সেটা ১৯০ রান চেজ করেই হোক বা ১০০ বা ৯০ রান চেজ করেই হোক। আমাদের কাছে জয়টাই মূখ্য। আর শেষ কয়েকটা সিরিজে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলছে। যদিও বিশ্বকাপ খেলতে গেলে কন্ডিশন একটু ভিন্ন হবে তবে ওমানে অনুশীলনের সুযোগ পাব। আমরা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো।’

মিরপুরের চেনা কন্ডিশন, স্পিন-পেসের সমন্বয়, সবকিছু মিলে সাইফউদ্দিনের দর্শনটা এমন, ‘অবশ্যই মিরপুর আমাদের চেনা কন্ডিশন। আমার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ম্যাচই আমি এখানে খেলেছি। তো স্পিন উইকেট হওয়াতে আমাদের পেস বোলারদের জন্য সুবিধা হচ্ছে, কারণ কাটার ধরছিল। স্পিনের বিপক্ষে রান না পাওয়ায় ওরা আমাদের (পেসার) বিপক্ষে চান্স নিতে চেয়েছিল। এ কারণে আমরা উইকেট নিতে পেরেছি। এজন্য আমাদের জন্য উইকেট বের করার ভাল একটা সুযোগ।’

স্পিন উইকেটে পেসারদের লড়াই করতে হয়। কিভাবে সমন্বয় হয়। সাইফউদ্দিন বলেন, ‘পেস বোলার হিসেবে আমাকে সব কন্ডিশন ও উইকেটের সামনে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করি, তো এখন আমাদের সামনে যে উইকেট ওই কন্ডিশন অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করি। পরের ম্যাচে যদি পিচের চরিত্র বদল হয় তবে সে অনুযায়ী আমরা বাউন্সার, স্লোয়ার, ইয়র্কার বা ওয়াইড ইয়র্কার; এসব দিকে যাব। যেহেতু এখানে কাটারটা বেশি কার্যকরী তাই এখন এটার চেষ্টা করছি। পরের ম্যাচগুলোয় যদি উইকেট চেঞ্জ হয় তখন ব্যাক অব লেন্থে জোরে বল করার চেষ্টা করবো। আমাদের বোলিং কোচ বা হেড কোচ যখন যে পরিকল্পনা দেয় আমরা সেভাবেই বল করার চেষ্টা করি।’

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ের আশায় সাইফউদ্দিন, ‘যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি এমন একটা ফরম্যাট যে এখানে ফেভারিট বলাটা কঠিন। ব্যাটিং উইকেটে খেলা হলে যেদিন যাদের ব্যাটে ভাল টাচ থাকবে সেই জিতবে। এজন্য আত্মবিশ্বাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মাশাআল্লাহ শেষ কয়েকটা ম্যাচে টানা জয়ের ধারায় আছি। তো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি ম্যাচগুলোতেও যদি জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারি তো বিশ্বকাপের কোয়ালিফাই ম্যাচ থেকে শুরু করে সব ম্যাচে ভাল কাজে দিবে।’

বিশ্বকাপে হযতো এমন উইকেট পাবে না বাংলাদেশ। তবে জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে সেখানে।

সাইফউদ্দিনের ভাবনাটাও তেমন, ‘এখানকার অভিজ্ঞতাটা খুব একটা কাজে আসবে না কিন্তু আত্মবিশ্বাসটা যদি নিয়ে যেতে পারি..যেহেতু আমরা প্রস্তুতির সুযোগ পাব ওখানে, তো আমরা যতটা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারব সেখানে ততটাই ভাল হবে। আর আমরা বোলাররা অনেক বেশি কেপাবল, আমরা অনেক কন্ডিশনেই ম্যাচ খেলেছি তো মানিয়ে নিতে পারব আমি মনে করি।’

সব শেষে বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে স্তুতিতে ভাসালেন সাইফউদ্দিন, ‘রায়ান কুককে ধন্যবাদ জানাতে হয়। কোন সন্দেহ নেই আমাদের কোচিং স্টাফের মধ্যে সবচেয়ে পরিশ্রমী বলা যায়। শুধু ফিল্ডিংয়ের জন্য না পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে-বোলিংয়ে নানা টেকনিক শিখতে সাহায্য করে। আসলে ওর প্রভাব, অনুশীলনে যা শেখায়, ম্যাচে কি করনীয় সেটাও জানায়, সেগুলোর প্রভাব ধীরে ধীরে পাচ্ছি আসলে। ম্যাচে পেসারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কেমন হবে বা সবাই ফিল্ডিংয়ে এখন ভাল ভাল ক্যাচ ধরতেছে। তো এ জিনিসটা আমাদের দলের জন্য অনেক ভাল দিক।’

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এস

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত