আপডেট :

        স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে সিকৃবিতে আলোচনা সভা

        বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের

        বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের

        বিচারকবিহীন আদালত

        বাংলাদেশের গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার

        সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের মৃত্যু

        জাতীয় ছাত্র সমাজের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

        দ্বিতীয় টেস্টে নেই হাথুরু

        ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২৪’

        গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

        আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করতে হবে: সিসিক মেয়র

        রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

        মস্কো কনসার্ট হামলায় পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউক্রেনের ইন্ধনের অভিযোগ রাশিয়ার

        র‍্যাবের পৃথক অভিযান, ১২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

        পদ্মা সেতুতে ভুটানের রাজা

        মার্কিন কূটনীতিককে তলব

        স্বাধীনতা দিবস বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ফসল: প্রতিমন্ত্রী

        সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে: সংসদ স্পিকার

        বাল্টিমোর সেতু দুর্ঘটনা ভয়াবহ: বাইডেন

        মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুজিব কোট’ উপহার দিলো প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘতম দৌড়ে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি নারীরা

যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘতম দৌড়ে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি নারীরা

যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যে গত ২৭ ও ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম দৌড় প্রতিযোগিতা ‘হুড টু কোস্ট’ রিলে রেস। এই প্রতিযোগিতায় এবার প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি নারীদের দল ‘জয়িতা’ অংশ নিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ‘মাদার অব অল রিলে’ নামে পরিচিত এই দৌড় প্রতিযোগিতাটি গত ৩৮ বছর ধরে প্রতি বছর অরেগন অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পৃথিবীর ৪০টির বেশি দেশ থেকে আসা প্রায় ১৭ হাজার প্রতিযোগী প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ২০০ মাইলের এই দৌড় প্রতিযোগিতা অরেগনের বিখ্যাত পর্বত মাউন্টেইন হুডের টিমবারলেন লজ থেকে শুরু হয়ে পোর্টল্যান্ড শহর অতিক্রম করে প্রশান্ত মহাসাগরের পারে সি-সাইডে গিয়ে শেষ হয়। প্রতিযোগীরা ১২ সদস্যের একটি দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেন।

২০০ মাইলের এই দৌড় প্রতিযোগিতা ৩৫টি ভাগে বিভক্ত। দলের সদস্যরা পালাক্রমে একটি করে ভাগ সম্পন্ন করেন। এক সদস্য যেখানে শেষ করেন সেখান থেকে শুরু করেন অন্য সদস্য। এভাবে প্রত্যেক সদস্য একটানা ৪০ ঘণ্টার মধ্যে তিনটি করে ভাগ সম্পন্ন করেন। দৌড়ের পথ মসৃণ নয়। কখনো পর্বতের ঢালে, কখনো বিস্তীর্ণ পাথরে, কখনো মাটির পথ, কখনো পিচঢালা রাস্তা, আবার কখনো এক হাজার ফুট উচ্চতার পাহাড়ি পথে দৌড়াতে হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় ১১০০টি দল অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৮৬৭টি দল ফিনিশ লাইনে সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। ২০১৯ সালে প্রবাসী বাংলাদেশি পুরুষদের একটি দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘হুড টু কোস্ট রিলে রেসে’ বাংলাদেশিদের পদচারণা শুরু হয়। নারীদের অংশগ্রহণ এটাই প্রথম।

এই প্রসঙ্গে দলের কোচ ও ক্যাপ্টেন সেলিনা বেগম বলেন, হুড টু কোস্ট রিলেতে অংশগ্রহণ মেয়েদের জন্য একটি বিশেষ অর্জন। পৃথিবীর দীর্ঘতম ৪০ ঘণ্টার দৌড়ে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি নারীর অর্জনের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যুক্ত হলো। প্রথাগত কাজের বাইরেও নারী নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে এই অংশগ্রহণ তারই দৃষ্টান্ত। নিজেদের অংশগ্রহণে এবং ফিনিশ লাইন অতিক্রম করতে পারায় ভীষণ আনন্দিত জয়িতা দলের নারী সদস্যরা।

দলের সদস্য সায়মা এহসান বলেন, এই দৌড়ের পেছনে আছে দীর্ঘ দিনের মানসিক এবং শারীরিক প্রস্তুতি। দৌড়ের পথটি ছিল দুর্গম। নিয়ম মেনে অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি করতে হয়েছে।

নিজেদের প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে ফারহানা পারভীন বলেন, ‘অংশগ্রহণকারীদের বয়স ১৪ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। অধিকাংশই কর্মজীবী মা। তাঁদের অনেকেরই দৌড়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। তাঁরা এতটা বন্ধুর পথ দৌড়ে আসতে পারবেন এই ধারণাও অনেকের ছিল না। প্রতিদিনের কঠোর অনুশীলন তাঁদের ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। চেষ্টা করলে বাংলাদেশি নারীরা যেকোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সচেতনতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াটাও জয়িতার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য। শারীরিক সুস্থতার কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত হাঁটা বা দৌড়ানোর মাধ্যমে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিয়মিত হাঁটা বা দৌড়ানোর জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে।

হুড টু কোস্টের বার্ষিক আয়োজনের একটি প্রধান উদ্দেশ্য ক্যানসার রোগের গবেষণার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা। এই আয়োজন থেকে উপার্জিত অর্থ ক্যানসার গবেষণার জন্য দান করা হয়।

এই মহৎ উদ্যোগ সম্পর্কে দলের সদস্য মাহবুব সুলতানা বলেন, ‘আমার এখানে অংশগ্রহণের মূল অনুপ্রেরণা ছিল ক্যানসার রোগের গবেষণার জন্য অর্থ তহবিল সংগ্রহ করা। আমি আমার পরিবারের অনেক সদস্যকে ক্যানসারে হারিয়েছি। তাই এই কাজে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে গর্বিত। সবার অংশগ্রহণে আমরা একটি সুন্দর ক্যানসার মুক্ত পৃথিবী গড়তে পারি।’

হুড টু কোস্ট দৌড় প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এবং সমাদৃত। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেমন চীন, ইসরায়েল, তাইওয়ান একই নামে বার্ষিক দৌড় প্রতিযোগিতা নিজ দেশে চালু করেছে।

 

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এস

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত