আপডেট :

        পার্লামেন্টে জুতা চুরি, খালি পায়ে ঘরে ফিরলেন পাকিস্তানের এমপিরা

        অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

        কুড়িগ্রামে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু

        চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        দেশে একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে

        ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে

        ইউক্রেনে গোপনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

        আবহাওয়া বিবেচনায় খোলা হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

        ‘ব্ল্যাক’ ফিরে যাচ্ছে পুরনো লাইনআপে!

        অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি কামনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসতিসকার নামাজ

        রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনায় আগুন

        উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে

        বাস দুর্ঘটনায় বাবা নিহত, মা-ছেলে মুমূর্ষু

        ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট বাড়বে শারীরিক অস্বস্তি

        মোবাইল ইন্টারনেট গতির সূচকে আরও ৬ ধাপ পিছিয়ে ১১২তম অবস্থানে

        মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশের

        বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ জন কর্মকর্তা

        সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন

        রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে উদাত্ত আহ্বান

        হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার

ব্রাজিলের বিস্ময় গোলদাতাকে মাদকসেবীরা গুলি করে মারতে চেয়েছিল

ব্রাজিলের বিস্ময় গোলদাতাকে মাদকসেবীরা গুলি করে মারতে চেয়েছিল

আর দশজন ব্রাজিলিয়ান তারকার মতোই তাঁর ছেলেবেলা!

সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি। বরং যে চামচটা জন্মের সময় তাঁর মুখে দেওয়া হয়েছিল, সেটি বেশ মলিন, রংচটাই ছিল। কাল সার্বিয়ার বিপক্ষে বিস্ময়কর গোলদাতা রিচার্লিসনের বাবা ছিলেন দৈনিক মজুরির বিনিময়ে কাজ করা একজন রাজমিস্ত্রি। মা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বিক্রি করতেন আইসক্রিম। তাঁর জন্মস্থান ব্রাজিলের এসপিরিতো সান্তো প্রদেশের নোভা ভেনিসিয়া শহরে।

নোভা ভেনিসিয়ার খুব নিরাপদ শহর হিসেবে পরিচিতি নেই। এটি মাদক ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবেই পরিচিত। এই শহরের আকাশে–বাতাসে উড়ে বেড়ায় কালো টাকা। অবৈধ যা কিছু আছে, এই শহরের শিশু–কিশোররা সেগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠে ছোটবেলা থেকেই। রিচার্লিসন হচ্ছেন তাঁর মা–বাবার পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট।

তিনি ছোটবেলায় এমন দিন দেখেছেন, যখন তাঁর মা–বাবা সন্তানদের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দিতেই হিমশিম খেতেন। আধপেটা খেয়ে রিচার্লিসন রাতে ঘুমাতে গেছেন, এমন দিন এসেছে তাঁর জীবনে অনেকবারই।

টাইমস–এর সঙ্গে আলাপচারিতায় রিচার্লিসন নিজেই বলেছিলেন সেই অন্ধকার অতীতের গল্প, ‘আমার অনেক বন্ধুরা রাস্তায় মাদক বিক্রি করত। সহজে অর্থ আয়ের সেটিই ছিল দারুণ সুযোগ। ঠিকঠাক মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে পারলে বেশ ভালো অর্থ পাওয়া যেত। কিন্তু আমার মা–বাবা আমাকে শিখিয়েছিলেন, এভাবে অর্থ আয় করা ঠিক নয়, সেটি অন্ধকার উপায়।

আমি তখন আমার মায়ের সঙ্গে চকলেট, আইসক্রিম বিক্রি করতাম। বাড়তি কিছু উপার্জনের জন্য বেছে নিতাম বড়লোকদের গাড়ি ধোয়ার কাজ। এই কাজগুলোকেই আমি টাকা আয়ের সঠিক উপায় হিসেবে জানতাম, বিশ্বাস করতাম। আমি আমার মাকে সাহায্য করতাম, যতটা পারতাম।’

কিন্তু যে শহর মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য, যে শহরে অপরাধটাই চল, সেখানে রিচার্লিসন নিরাপদে থাকেন কীভাবে! তাঁকেও অপরাধের মুখোমুখি হতে হয়েছে। একবার এমন একটা ঘটনায় প্রাণ নিয়ে সংশয়ে পড়েছিলেন। এক মাদক ব্যবসায়ী নিজের দলের এক ছেলের সঙ্গে রিচার্লিসনকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন।

তিনি মনে করেছিলেন, রিচার্লিসন হয়তো তাঁর দল ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন, ‘একদিন আমরা ছোটরা রাস্তায় খেলছি। হঠাৎ এক মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী খেলা থামিয়ে আমার মাথায় বন্দুক তাক করল। সে ভেবেছিল, আমি হয়তো তার দলেরই ছেলে, পালিয়েছি। সে আমাদের হুমকি দেয়, আবার যদি তার মুখোমুখি আমি হই, তাহলে বন্দুকের ট্রিগার টিপে দিতে তার এতটুকু সময় লাগবে না। কী মনে করে, সে সেদিন আমাকে ছেড়ে দিয়েছিল।’ রিচার্লিসনের বয়স ছিল তখন মাত্র ১৪।

রিচার্লিসনের ফুটবলার হওয়াটা বাবার উৎসাহেই, ‘একদিন বাবা হঠাৎ করেই আমার জন্য কয়েকটি ফুটবল কিনে নিয়ে আসলেন। তিনি সব সময়ই চাইতেন, আমি ভালো ফুটবলার হই। আমরা রাস্তায় ফুটবল খেলতাম। স্যান্ডেল দিয়ে গোল বানাতাম।’

বাবা চাইলেও রিচার্লিসনের ফুটবলার হওয়ার সুযোগ প্রথম তৈরি হয় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর। রাস্তায় তাঁর খেলার দক্ষতা দেখে সেই ব্যবসায়ীর খুব পছন্দ হয়। তিনি তাঁকে একজোড়া নতুন বুট কিনে দেন। আমেরিকা মিনেইরো নামের একটি দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবেও নিয়ে যান। 

তাদের প্রতিভা অন্বেষণকারীদের বলেন, রিচার্লিসনের প্রতিভার কথা। এক বছরের মাথায় মিনেইরো থেকে ফ্লুমিনেসে ডাক পান। সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ওয়াটফোর্ডে চলে যান, সেখান থেকে এভারটন। ৬০ মিলিয়ন পাউন্ডে এই মৌসুমের শুরুতে নাম লেখান টটেনহামে। এভারটনেই তিনি ছিলেন দলটির সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়।

কিন্তু যে শহর মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য, যে শহরে অপরাধটাই চল, সেখানে রিচার্লিসন নিরাপদে থাকেন কীভাবে! তাঁকেও অপরাধের মুখোমুখি হতে হয়েছে। একবার এমন একটা ঘটনায় প্রাণ নিয়ে সংশয়ে পড়েছিলেন। এক মাদক ব্যবসায়ী নিজের দলের এক ছেলের সঙ্গে রিচার্লিসনকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন।

তিনি মনে করেছিলেন, রিচার্লিসন হয়তো তাঁর দল ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন, ‘একদিন আমরা ছোটরা রাস্তায় খেলছি। হঠাৎ এক মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী খেলা থামিয়ে আমার মাথায় বন্দুক তাক করল। সে ভেবেছিল, আমি হয়তো তার দলেরই ছেলে, পালিয়েছি। সে আমাদের হুমকি দেয়, আবার যদি তার মুখোমুখি আমি হই, তাহলে বন্দুকের ট্রিগার টিপে দিতে তার এতটুকু সময় লাগবে না। কী মনে করে, সে সেদিন আমাকে ছেড়ে দিয়েছিল।’ রিচার্লিসনের বয়স ছিল তখন মাত্র ১৪।

রিচার্লিসনের ফুটবলার হওয়াটা বাবার উৎসাহেই, ‘একদিন বাবা হঠাৎ করেই আমার জন্য কয়েকটি ফুটবল কিনে নিয়ে আসলেন। তিনি সব সময়ই চাইতেন, আমি ভালো ফুটবলার হই। আমরা রাস্তায় ফুটবল খেলতাম। স্যান্ডেল দিয়ে গোল বানাতাম।’

বাবা চাইলেও রিচার্লিসনের ফুটবলার হওয়ার সুযোগ প্রথম তৈরি হয় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর। রাস্তায় তাঁর খেলার দক্ষতা দেখে সেই ব্যবসায়ীর খুব পছন্দ হয়। তিনি তাঁকে একজোড়া নতুন বুট কিনে দেন। আমেরিকা মিনেইরো নামের একটি দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবেও নিয়ে যান। 

তাদের প্রতিভা অন্বেষণকারীদের বলেন, রিচার্লিসনের প্রতিভার কথা। এক বছরের মাথায় মিনেইরো থেকে ফ্লুমিনেসে ডাক পান। সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ওয়াটফোর্ডে চলে যান, সেখান থেকে এভারটন। ৬০ মিলিয়ন পাউন্ডে এই মৌসুমের শুরুতে নাম লেখান টটেনহামে। এভারটনেই তিনি ছিলেন দলটির সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়।

আমি তখন আমার মায়ের সঙ্গে চকলেট, আইসক্রিম বিক্রি করতাম। বাড়তি কিছু উপার্জনের জন্য বেছে নিতাম বড়লোকদের গাড়ি ধোয়ার কাজ। এই কাজগুলোকেই আমি টাকা আয়ের সঠিক উপায় হিসেবে জানতাম, বিশ্বাস করতাম। আমি আমার মাকে সাহায্য করতাম, যতটা পারতাম।’

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত