শুধু গল্পেই থাকবে কাতারের 'স্টেডিয়াম ৯৭৪'
কাতার বিশ্বকাপ যেন এক অনেক চমকের বিশ্বকাপ। মাঠ আর মাঠের বাইরের অনেক ইস্যুতেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে কাতার বিশ্বকাপ। সে রকমই আলোচিত এক স্টেডিয়াম কাতারের স্টেডিয়াম ৯৭৪। কনটেইনার ব্যবহার করে তৈরি এই স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণ অপসারণযোগ্য করেই তৈরি করা হয়েছিল। পরিকল্পনাও ছিল বিশ্বকাপ শেষেই নান্দনিক এই স্টেডিয়ামটি অপসারণ করা হবে। সোমবার শেষ ষোলোর ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটিই ছিল কাতার বিশ্বকাপে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ শেষ ম্যাচ। পরিকল্পনামাফিক তাই এই স্টেডিয়ামটি এখন ভেঙে ফেলা হবে।
স্টেডিয়ামটির নামকরণ ৯৭৪ করার পেছনেও রয়েছে এক গল্প। কাতারের ফোন কলের ডায়ালিং কোড নম্বর হচ্ছে নাইন সেভেন ফোর (৯৭৪)। তাই স্টেডিয়ামটি তৈরিতেও ৯৭৪টি কনটেইনার ব্যবহার করা হয়েছে। আর এই কারণেই এর নামকরণ করা হয় 'স্টেডিয়াম ৯৭৪'। স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ কাতার বিশ্বকাপের মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা ছিল ৪০ হাজার। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম অস্থায়ী স্টেডিয়াম। কাতারের সামুদ্রিক এলাকার পাশেই অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে মডিউলার স্টিল ও শিপিং কনটেইনার দিয়ে। স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলার সময় যাতে শব্দদূষণ না হয় সেজন্যও বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে কাতার প্রশাসনের। স্টেডিয়ামটি অপসারণের পর এতে ব্যবহূত উপকরণগুলো যেমন পুনরায় ব্যবহার করা যাবে, তেমনি চাইলে খুব সহজেই এই স্টেডিয়াম অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরও করা সম্ভব।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এই স্টেডিয়ামটি বাংলাদেশে আনতে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি কাতার। বিশ্বকাপের স্মৃতিমাখা এই স্টেডিয়ামটি ভবিষ্যতে কনটেইনার আকারে সাগরে ভেসে বেড়াবে, নাকি পুনরায় স্থাপন করা হবে অন্য কোনো দেশে, সেটি জানতে দর্শকদের অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন