আপডেট :

        মানুষকে বিশ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া

        মানুষকে বিশ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া

        শ্রমিকদের প্রতি সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

        শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে না

        কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেশীয় পতাকা নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন আদনান আল রাজীব

        ইসরাইল-হামাস তুমুল লড়াই

        ইসরাইল-হামাস তুমুল লড়াই

        ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা

        পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয়ব

        ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংকঃ বিজেপি নেতা অমিত শাহ

        ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস

        দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে

        দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট

        বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির গল্পটা সবারই জানা

        সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

বিতর্কিত হ্যান্ডবলের গোলেই ব্রাজিলের বিদায়!

বিতর্কিত হ্যান্ডবলের গোলেই ব্রাজিলের বিদায়!

কোপা আমেরিকা ২০১৬

এই ম্যাচের প্রসঙ্গ যতবার উঠবে তখনই প্রশ্নটা ফিরে আসবে-‘গোলটা কি হ্যান্ডবল ছিল?’
হ্যান্ডবল ছিল কী ছিল না সেই বিতর্ক জিইয়ে থাকুক। তবে যারা এ ম্যাচ দেখেছেন তারা একটা ব্যাপারে একমত হবেন-‘ব্রাজিলের বিদায় নেওয়াটা প্রাপ্যই ছিল!’
যে দল ইকুয়েডরের বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিটে একটা গোল করতে পারে না। যে দল পেরুর কাছে (হোক না বিতর্কিত) ১-০ গোলে হেরে যায়-সেই দলের আর যাই হোক টুর্নামেন্টে সামনে বাড়ার যোগ্যতা রাখে না।
দুঙ্গার কোচিংয়ে ব্রাজিল এখন অমনই নখদন্তহীন দল। হ্যাঁ, মাঝে একটা ম্যাচে ৭-১ গোলে জিতেছে অবশ্য ব্রাজিল। তবে কার বিপক্ষে-হাইতি! যে দলের বিপক্ষে প্রায় সবাই গোল করতে পারে। এমনকি ইকুয়েডরও একহালি গোল দিয়েছে হাইতির জালে। অমন দলের সঙ্গে ব্রাজিলের ৭-১ গোলের জয়ে আর যাই হোক, গর্ব করার মতো কিছু নেই।
ব্রাজিল এমনই দল যখনই যে টুর্নামেন্টে খেলে ফেভারিটের তকমাটা লেগে যায়। এবারের কোপা আমেরিকায় সেই আগের হিসাবেই ছিল। কিন্তু সমর্থকদের আরেকবার হতাশ করে সেলেকাওরা এ টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল গ্রুপ পর্ব থেকেই! এন আগে সর্বশেষ কোপা আমেরিকায় তারা গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ১৯৮৭ সালে। কাল পেরুর বিপক্ষে খেলা ব্রাজিলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের জন্মও হয়নি তখন!
ম্যাচের ৭৫ মিনিটের সময় পাল্টা আক্রমণ থেকে অ্যান্ডি পলোর ক্রস থেকে বল পেয়ে বদলি খেলোয়াড় রাউল রুইদিয়াজ প্রথমে হাতে এবং পরে ঊরুতে বল লাগিয়ে জালে জড়ান। রেফারি আন্দ্রেস কুনহা গোলের বাঁশি বাজান। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে পুরো ব্রাজিল দল রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। নার্ভাস রেফারি ছুটে যান লাইন্সম্যানের কাছে। তার সঙ্গে বেশকিছু সময় ধরে আলাপ করেন। তারপর কানে লাগানো হেডফোনে অন্য প্রান্তে অজানা(!) কার সঙ্গে আরও পরামর্শ করেন। ঘড়ির কাঁটা জানায় প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে রেফারি এ কথাবার্তা চালিয়ে যান। এরই মধ্যে কখনও পেরু কখনও ব্রাজিলের ফুটবলাররা তাকে ঘিরে ধরে রাখে। চলে বাদানুবাদ। প্রতিবাদ। খেলা বন্ধ। গ্যালারিতে পেরুর সমর্থকদের উল্লাস। আর ব্রাজিলের হতাশা। অবশেষে লম্বা সময় শেষে রেফারি জানান-ওটা গোল। পেরু এগিয়ে যায় ম্যাচে ১-০ গোলে।
সেই গোলেই ব্রাজিলের কোপা আমেরিকা থেকে আগেভাগে বিদায়।
পুরো ম্যাচে ব্রাজিল বেশ আক্রমণের তেজ দেখায়। মধ্যমাঠ থেকে পেরুর ডি-বক্স পর্যন্ত বল নিয়ে ভালোই সামনে বাড়ে। ব্যস, ওই পর্যন্ত। একটা আক্রমণেরও ফিনিশিং খুঁজে পায়নি দুঙ্গার দল। পেনাল্টি আদায়ের জন্য খামোখা পেরুর ডি-বক্সের ভেতর পড়ে যাওয়ার ভান করা ব্রাজিলকে বড্ড বেশি অসহায় দেখাচ্ছিল।
গোল আদায়ের জন্য এখন তাহলে ‘অভিনয়ও’ করতে হয় ব্রাজিলকে! হাতেগোনা যে ক’টা শট পেরুর পোস্টে যায় সেগুলো দারুণ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করেন গোলকিপার পেদ্রো গালেস।
গোলটা ব্রাজিল হজম করে খেলার ধারার বিপরীতে। দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে বারবার পেরুর সীমানায় সম্মিলিতভাবে উঠে আসছিল, মনে হচ্ছিল গোল ঠিকই পেয়ে যাবে দানি আলভেসরা। কিন্তু গোল করার মতো ফিনিশার যে নেই দুঙ্গার এই দলে।
নেইমারের অভাবটা বড় বেশি মিস করছে ব্রাজিল! ৭৫ মিনিটে সেই বিতর্কিত গোলে পেরু এগিয়ে যাওয়ার পর ব্রাজিল আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এখানেও সেই একই সমস্যা। আক্রমণ শুরু হচ্ছে। ফিনিশিং যে পাচ্ছে না।
তবে কোপা আমেরিকা থেকে আগেভাগে বিদায়ে ব্রাজিল দল থেকে সম্ভবত একজন ‘ফিনিশ’ হতে চলেছেন।
তিনি ব্রাজিল কোচ কার্লোস দুঙ্গা!
এরপরও তার এই চাকরি থাকে কী করে?

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত