আটককেন্দ্রে মেক্সিকান অভিবাসীর মৃত্যু, চলতি বছরে আইসিই হেফাজতে ১৪তম প্রাণহানি
ফেঞ্চুগঞ্জে বিয়ে করতে গিয়ে মুচলেকা দিয়ে ফিরলেন প্রবাসী
ধুমধামে বিয়ে আয়োজন। কনে সাজানো শেষ,বরপক্ষ ও এসে গেছে। শুরু
হয়েছে বিয়ের খাবার পরিবেশন।
ঠিক ওই মুহূর্তে উপস্থিত হন স্থানীয় প্রশাসনের
কর্মকর্তারা। অল্প সময়ের মধ্যে সব
আয়োজন, সব স্বপ্ন ভেঙে খান খান।
অবশেষে মুচলেকা দিয়ে কনে রেখেই
বাড়ি ফিরলেন সৌদি প্রবাসী বর
জাবের আহমদ দলা মিয়া (৩৬)। ঘটনাটি
ঘটেছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ
উপজেলার কিষ্ট্রাললাইট কমিউনিটি
সেন্টারে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,
বৃহস্পতিবার সিলেটেরফেঞ্চুগঞ্জের
ইলাশপুরের এক কিশোরীর (১৫) সঙ্গে
বিয়ের আয়োজন চলছিল পার্শ্ববর্তী
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার
ইউনিয়নের নইখাই গ্রামের মৃত আশিদ
আলীর সৌদি আরব প্রবাসী ছেলে
জাবের আহমদ দলা মিয়ার (৩৬)।
উপজেলার ক্রিস্টাল লাইট কমিউনিটি
সেন্টারে আয়োজন করা বিয়ের
অনুষ্ঠান। নিয়ম অনুযায়ী বৃহস্পতিবার
দুপুরে সৌদি প্রবাসী বর বিশাল
গাড়িবহর নিয়ে কমিউনিনিটি
সেন্টারে আসেন। কনেপক্ষ তাদের
ফুলেল অভ্যর্থনা জানায়।এরপর
বরযাত্রীদের পরিবেশন করা হয় মুরগীর
রোস্ট,পোলাওসহ কয়েক পদের খাবার।
আমন্ত্রিত অতিথিরা ও বরযাত্রীরা শুরু
করেন খাওয়া।
অন্যদিকে, বধূর সাজে অপেক্ষায়
কিশোরী। তখনো বিয়ে
পরানো হয়নি। হঠাৎ কমিউনিটি
সেন্টারে পুলিশ নিয়ে প্রবেশ করেন
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) হুরে জান্নাত।
উভয়পক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা
করে তিনি নিশ্চিত হন এখানে বাল্য
বিবাহের আয়োজন চলছে। এরপর কনের
বাবাকে ডেকে ভর্ৎসনা করে এক
হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই
সঙ্গে বর এবং কনের বাবা মুচলেকা
দেন। কনের সঠিক বয়স হওয়ার পর এই
বিয়ে হবে এ ব্যাপারে তারা
অঙ্গীকার করেন।এ ব্যাপারে ইউএনও
হুরে জান্নাত বলেন, ‘বধূবেশে বসা
মেয়েটির ভাষ্যমতে, ২০০০ সালে তার
জন্ম হয়েছে। সে হিসাবে তার বিয়ের
বয়স হয়নি। তাই বিয়েটি ভেঙে দেয়া
হয়েছে।’
শেয়ার করুন