দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বিমানের নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট অনিশ্চিত
আবারও আশার গুড়ে বালি। সহসা চালু হচ্ছে না বিমানের ঢাকা-নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট। প্রায় ১৯ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া এ রুটে ফ্লাইট ফের চালুর উদ্যোগ কয়েকবার নেওয়া হলেও বিভিন্ন জটিলতায় তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী যদিও বলছেন, সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট চালু করতে হলে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের (এফএএ) ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র দরকার পড়ে। এতে নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ওই সংস্থার মূল্যায়নে বাংলাদেশ বিমান ক্যাটাগরি-১-এ না পড়ায় ১৯৯৬ সালে ঢাকা-নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এখনো নিরাপত্তার বিষয়টির উন্নতি না হওয়ায় নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট ফের চালু আটকে আছে।
সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালের আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কোনো ক্যাটাগরিতেই ছিল না। ওই বছর মূলত এফএএর চাপে শাহজালালের ক্যাটাগরি নির্ণয় করে দেখা যায়, এর অবস্থান নিম্ন পর্যায়ে। এ কারণে ১৯৯৬ সালে ঢাকা-নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট পরিচালনার যোগ্যতা হারায় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনস।
২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে। তাতে বলা হয়, এফএএর নিরাপত্তা নিরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নিবন্ধিত বিমানের যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে প্রবেশাধিকার থাকবে না। তবে ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্রধারী কোনো দেশ থেকে উড়োজাহাজ ওয়েট লিজ পদ্ধতিতে ভাড়া করে ফ্লাইট চালুর সুযোগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ বিমান ব্যর্থতার পরিচয় দেয়।
বিমান যথাযথ পর্যালোচনা ছাড়াই মিসরের ইজিপশিয়ান এয়ার থেকে দুটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ 'ড্রাই লিজ' (দীর্ঘমেয়াদি) পদ্ধতিতে ভাড়া আনে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি। এরপর 'ওয়েট লিজ' (স্বল্পমেয়াদি) পদ্ধতিতে বিমান ভাড়ার চেষ্টা করেও সফলতা আসেনি। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ রুটে টিকিট ছেড়েও পরে ফেরত নিতে বাধ্য হয় বিমান। বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি কারিগরি কমিটি বাংলাদেশ থেকে ঘুরে গেছে। তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে তদন্ত করেছে। কিছু উপদেশও দিয়ে গেছে তারা। সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে সিএএবি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এ রুটে আবারও বিমান চালনার জন্য সিভিল এভিয়েশনকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে।
সিএএবির উপপরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) একরামউল্লাহ কালের কণ্ঠকে জানান, বিমানকে এই ক্যাটাগরিতে উন্নীত করার জন্য সব কিছু ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
শেয়ার করুন