আপডেট :

        ইসরাইল-হামাস তুমুল লড়াই

        ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা

        পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয়ব

        ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংকঃ বিজেপি নেতা অমিত শাহ

        ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস

        দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে

        দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট

        বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির গল্পটা সবারই জানা

        সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মামুনুল হক

        ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মামুনুল হক

        নদীতে গোসল করতে নেমে শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু!

        কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটা বিরোধের জের ধরে খুন

        ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর মা কে হারালেন

        পাকিস্তানে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি মেয়েদের স্কুলের বোমা হামলা

নিউইর্য়কে শেষ হলো আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন

নিউইর্য়কে শেষ হলো আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন

শেষ হলো বাংলাদেশ-ভারতের তৃণমূলের লেখকদের আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। সপ্তাহব্যাপী এই মিলনমেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। গত ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে কার্যক্রম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত কবি নির্মলেন্দু গুণ ও ভারতের লেখক আব্দুর রফিক খান। বিশ্ববাংলা সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত লেখক সম্মেলনে অংশ নেন প্রায় ৩০০ প্রতিনিধি। অধ্যক্ষ রিক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনটি উৎসর্গ করা হয় সদ্যপ্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শাসসুল হকের উদ্দেশ্যে।

উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমি অভিভূত। বাংলাদেশ ও ভারতের তৃণমূলের অনেক মানিক-রতন আজ এখানে সমাগত। তাদের প্রতিভার বিকাশে এ ধরণের সাহিত্য সম্মেলন কল্যাণ বয়ে আনবে। আমাদের সরকার মাটি ও মানুষের কল্যাণে বিশ্বাসী। পল্লী-মাটির সঠিক চিত্র আঁকতে তৃণমূলের লেখক শিল্পী-কুশলীদের ভূমিকা বিশাল। রাজধানী ঢাকায় সকলকে জানাই স্বাগত শুভেচ্ছা।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার নীলক্ষেতস্থ আহাদ মিলনায়তনে আয়োজিত হয় সম্মেলন। এতে খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, আমিও তৃণমূল। নেত্রকোণার গ্রামের ছেলে আমি। আমার একটি প্রিয় কবিতার বই হলো ‘চাষাভূষার কাব্য’। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে আসা কবি-গীতিকার আব্দুর রফিক খান বলেন, শহুরে লেখকদের অহংকার করা উচিৎ না। আমাদের মুর্শিদাবাদ একদা বাংলা-বিহার-উড়িশ্যার রাজধানী ছিলো। নবাব সিরাজ উদ্দৌলার স্মৃতিধন্য সেই রাজধানী এখন যেন বিশাল গ্রাম। অর্থাৎ আমরা কালের বিবর্তনে আবার তৃণমূল-এর মানুষ হয়েছি। সুতরাং পুরো বাংলাই আজ তৃণমূল।

আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কয়েকজন। একুশে পদকপ্রাপ্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের কবি মং ছেন চিং (মংচিন), লন্ডন প্রবাসী লেখক-গবেষক প্রফেসর ড. আব্দুল ওয়াহাব। অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ও লেখক-চিন্তক আশরাফ আল দীন, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের পরিচালক এম. আতাউল্লাহ খান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, তৃণমূল সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে কাব্যসংকলণ ও উৎসব স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। প্রধান অতিথি মোড়ক উন্মোচন করেন। ‘সন্ধান’ শিরোনামের কাব্যসংকলণে ৪৫০জন নিবন্ধিত ও আমন্ত্রিত কবির লেখনী মুদ্রিত হয়েছে। উৎসব ম্যাগাজিন ধ্বনি’তে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থ-স্বাস্থ্য-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্মানিত মন্ত্রিবর্গ, সমবায় প্রতিমন্ত্রী, একাধিক এমপি প্রমুখ। সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী কবিতা লিখে দিয়েছেন আমেরিকায় বসবাসরত বিশ্ববাতায়নের কবি-কথাকার সালেম সুলেরী।

সাতদিনের কর্মসূচিতে উদ্বোধনী পর্ব ছাড়াও সম্মাননা প্রদান, কর্মশালা, সেমিনার, একাধিক স্থানে মত বিনিময়, দফায় দফায় কবিতা পাঠ ইত্যাদি অনিুষ্ঠত হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আরো ছিলেন ভারতের শিবশংকর ঘোষ, আব্দুর রউফ, আমজাদ হোসেন, অজয় দেবনাথ, জয়নাল আবেদিন, বাংলাদেশের নাঈম হাসান, মাসুদা সুলতানা, রিয়াল রোমেল, শতাব্দী সবুজ, খায়রুল আলম, সৈয়দ হাশমত আলী, এডভোকেট আব্দুল গাফফার সহ তৃণমূলের তিনশত সাহিত্যকর্মী। সকলকে ব্যাগ, প্রকাশনা, কলম, পোস্টার, ভাঁজপত্র উপহার দেওয়া হয়।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত