আপডেট :

        ডিজাব’র নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

        দেশের শাসন কাঠামোর সব জায়গায় শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার দাবি

        সাঁথিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড

        সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন

        ঘুমের যত্নে প্রাকৃতিক উপায়

        গাড়িতে অযাচিত স্টিকার ব্যবহার

        অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

        উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার সম্ভাবনা

        বর্তমান সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য কেউ করেনি

        ২ ভাইকে পিটিয়ে হত্যা: জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

        ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নাই, আমারও নাই

        মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তারের কারন জানা গেলো

        সেচের অভাবে মরছে ২৪২ বিঘা ধান

        তীব্র গরমে ছাতা, ক্যাপ, বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ

        তীব্র গরম উপেক্ষা করে বিএনপির সমাবেশ

        যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী এবং ইসরায়েলি প্রতিরোধকারীদের সংঘর্ষ

        কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের একটি একাডেমিক ভবনে আটকে থাকা ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার

        মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ

        হাসপাতালে খালেদা জিয়া

        শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের

আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি নিউইয়র্ক সিটি

আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি নিউইয়র্ক সিটি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে উঠছে বলে খবর দিয়েছে দেশটির নিউইয়র্ক পোস্ট পত্রিকা। এর অর্থ সম্পূর্ণ দেউলিয়া হতে চলেছে শহরটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ৪০ বছর আগে আব্রাহাম বিম মেয়র থাকাকালীন নিউইয়র্ক এমন অবস্থায় পড়েছিল।

খবরে বলা হয়, ঋণের চাপে জর্জরিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ নাগরিকরা দলে দলে শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন। শহরটির সরকারি ব্যয় হয়ে উঠছে আকাশচুম্বী।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সর্বাত্মক আর্থিক বিপর্যয়ের খুব কাছেই রয়েছে নিউইয়র্ক।

গড়ে শহরটির প্রতিটি বাড়ির দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ ৮১ হাজার ডলারেরও বেশি। মেয়র ডি ব্লাসিও নতুন বাজেটে বর্তমান বাজেটের (৮৯.২ বিলিয়ন) তিন বিলিয়ন ডলার বেশি খরচ করতে চাইছেন।

অর্থনৈতিক যোগাযোগ সংস্থা ভেস্টেড’র প্রধান অর্থনীতিবিদ মিল্টন এজরাটি বলেন, ‘শহরটা বাজেট ঘাটতিতে আছে এবং অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে এটা খুবই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। কর সমন্বয় করার কারণে আরও বেশি মানুষ শহর ছেড়ে চলে গেলেও একই অবস্থা হবে।’

‘নিউইয়র্ক ইতোমধ্যেই খুব কঠিন অর্থ সঙ্কটে আছে। কিন্তু, কোনো ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি দেখা দিলে একেবারে অসম্ভব অবস্থা তৈরি হবে,’ সতর্ক করেন তিনি।

নিউইয়র্ক পোস্ট জানায়, ডি ব্লাসিও ২০২০ সালের প্রাথমিক বাজেটে অর্থ বাঁচানোর বিভিন্ন পদ্ধতি অন্তর্ভূক্ত করেছেন। কিন্তু, অর্থ ব্যবস্থায় মন্দার মতো কোনো ধাক্কা লাগলে রক্তক্ষরণ কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা অর্থনৈতিক মন্দাও আসন্ন বলে মনে করছেন।

আরও যেসব চমকপ্রদ সূচক নিউইয়র্কের দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কা নির্দেশ করছে, সেগুলো হলো—

— নিউইয়র্ক রাজ্য ও শহর ঋণের বোঝার দিক থেকে পুরো দেশের মধ্যে এক নম্বর।

— প্রপার্টি ট্যাক্স শহরটির মোট আয়ের প্রায় অর্ধেক। শহরটির অন্যান্য আয়ের উৎসের তুলনায় এই ট্যাক্স দ্রুততর গতিতে বাড়তে থাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির মালিকরা কম ট্যাক্স লাগে এমন রাজ্যগুলোতে চলে যাচ্ছেন।

— নিউইয়র্কে সবচেয়ে বেশি আয় করেন এমন ১ শতাংশ মানুষ ট্যাক্স থেকে শহরটির যা আয় হয়, তার অর্ধেক দিয়ে থাকেন।

আমেরিকান ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিক রিসার্চের অর্থনীতিবিদ পিটার সি আর্ল মনে করছেন, নিউইয়র্ক পুরোপুরি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।

‘এমন অবস্থায় ঋণদাতারা শহরটিকে সাময়িকভাবে রক্ষা করলেও, নতুন ঋণ নেয়া এর জন্য কঠিন হয়ে পড়বে,’ যোগ করেন তিনি।

এলএবাংলাটাইমস/এনওয়াই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত