আপডেট :

        শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ , পত্রিকা অফিসে আগুন

        সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

        আওয়ামী লীগের বিষয়ে ফয়সালা

        জম্মু বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ

        জন্ম নিচ্ছে ৬ হাজার শিশু

        ডিমের দাম বাড়ছে, কিন্তু মুরগি পালন কি সত্যিই সাশ্রয়ী? অভিজ্ঞ খামারিদের মতামত

        থ্রি ডোরস ডাউন ব্যান্ডের ব্র্যাড আর্নল্ডের স্টেজ-৪ ক্যানসার, সামার ট্যুর বাতিল

        গ্রিনল্যান্ডে গুপ্তচরবৃত্তি: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করলো ডেনমার্ক

        লিবিয়ায় অভিবাসীদের বহিষ্কার পরিকল্পনা সাময়িকভাবে স্থগিত করলেন মার্কিন বিচারক

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে পুলিশের অভিযান, বহু শিক্ষার্থী আটক

        চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে তরুণকে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা

        ট্রাম্পের বিলাসবহুল ডিনারে মাথাপিছু দেড় মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হয়

        দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে

        ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল

        এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে উল্লখে করেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির ও মাহিরা খান

        স্কুলে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না বাস্ত্যুচ্যুতরা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৫

        মার্কিন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে এখন থেকে রিয়েল আইডি বাধ্যতামূলক

        সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন জিয়া পরিবারের সদস্য ডা. জোবাইদা রহমান

        আগুন নিয়ে খেলছে ভারত

        ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ

বর্তমানে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে সাংবাদিকতা: নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভায় রিয়াজউদ্দিন

বর্তমানে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে সাংবাদিকতা: নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভায় রিয়াজউদ্দিন

বিশিষ্ট সাংবাদিক, ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ ফেডালের সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-এর সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সাংবাদিকতা কখনোই মসৃণ পথে এগুয়নি, এখনো না, ভবিষ্যতেও এগুবে না।
বর্তমানে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে সাংবাদিকতা।নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যদিয়েই সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে এবং সাংবাদিকতায় জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফল ঘটাতে হবে।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সভায় প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে রিয়াজউদ্দিন আহমেদ উপরোক্ত কথা বলেন।গত ১৩ জুলাই শনিবার  সন্ধ্যায় সিটির জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজা মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশের চারজন সাংবাদিক যথাক্রমে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ও ক্রীড়া সাংবাদিক অজয় বড়ুয়া, ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশন (ক্র্যাব)-এর সাবেক সভাপতি সৈয়দ আখতারুজ্জামান সিদ্দিকী লাবলু এবং হাসান আরেফিন-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং প্রায়ত চারজন সাংবাদিকদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মুনাজাত করেন ক্লাবের কার্যকরী সদস্য ও ইয়র্ক বাংলা সম্পাদক মাওলানা রশীদ আহমদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিবলী চৌধুরী কায়েস।

পরবর্তীতে আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, প্রেসক্লাবের অন্যতম উপদেষ্টা ও আজকাল সম্পাদক মনজুর আহমদ, উপদেষ্টা নিনি ওয়াহেদ, মঈনুদ্দীন নাসের,টাইম টিভির সিইও এবং বাংলা পত্রিকা সম্পাদক আবু তাহের,বিশিষ্ট অভিনেত্রী রেখা আহমদ,রানার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ভয়েস অব আমেরিকা’র নিউইয়র্ক প্রতিনিধি আকবর হায়দার কিরণ,লেখক-সাংবাদিক এবিএম সালেহ উদ্দীন, ক্লাবের সহ সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সিরাজুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ কাজল, বিএফইউজে’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইমরান আনসারী, আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দীন সাগর, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র বার্তা সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংবাদিক মঈন উদ্দিন আহমেদ ও মুজাহিদ আনসারী।

অনুষ্ঠানে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মরহুম সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি আপাদমস্তক সাংবাদিক ছিলেন। ছিলেন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অ্যাঙ্করের পথিকৃত। তিনি অন্যান্য সাংবাদিকদেরও বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৬০-এর দশক ছিলো সাংবাদিকতার স্বর্ণযুগ। ৮০’র দশকের পর সাংবাদিকতা আর সত্যিকারের সাংবাদিকতা নেই। তিনি বলেন, এখন দেশের সাংবাদিকতার অবস্থা সবাই অবগত। আমরা দেশে থেকে যা জানি না, প্রবাসীরা বিদেশে থেকে তা জানেন। আর বিভক্তি কোথায় নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডাক্তাররাও তো আজ বিভক্ত। এই বিভক্তির জন্য দেশের রাজনৈতিক দৈন্যতাই দায়ী। দেশের রাজনীতি সহ সমাজে আজ নীতি, নৈতিকতা, মূলবোধ নেই। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। এর মধ্যেও এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, সকল অনৈতিকতার বিরুদ্ধে দেশের মানুষের মনে বিপ্লবের আকাঙ্খা রয়েছে। কিন্তু বিপ্লব হতে নেতা লাগে, সঠিক নেতৃত্ব লাগে। সেই নীতিবান নেতা কোথায়....?

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইয়্যুব খানের সময় থেকেই ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনের মতো আইন বলবৎ ছিলো। ৯০-এ সেই আইনের নিবর্তনমূলক কালাকানুন বাতিল হলেও আবার বর্তমানে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে সাংবাদিকতা। সকল মহলের চাপ আর কালাকানুন চ্যালেঞ্জ করেই সাংবাদিকদের সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, দুষ্টু চক্রের রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা সহ সকল ক্ষেত্রেই ধ্বস নেমেছে।

মনজুর আহমদ বলেন, বাংলাদেশে বাকশাল কায়েমের সময়-ই সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ-বিভক্তির সূত্রপাত হয়। যে বিভেদ-বিভক্তি আজ চরম আকার ধারণ করেছে। আর এই বিভক্তির জন্য সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যার বিচার হচ্ছে না। 
নিনি ওয়াহেদ বলেন, আমাদের সময়ে সাংবাদিকদের মধ্যে মত-পার্থক্য ছিলো কিন্তু বিরোধ-বিভক্তি বা অসম্মান ছিলো না। সেই সাথে সাংবাদিকতায় ছিলো সততা আর সৎ সাহস। যা এখন চিন্তাও করা যায় না।  
মঈনুদ্দীর নাসের বলেন, সাংবাদিকদের বিভেদ-বিভক্তি আর লেজুরবৃত্তির কারণে সাংবাদিকরা আজ মর্যাদা পাচ্ছে না। দাবী-দাওয়ার জন্য আন্দোলন হয় না, আন্দোলনের প্রয়োজন পড়ে না। সাগর-রুনীর বিচার এখনও হয়নি।
আবু তাহের বলেন, আমাদের কাছে যারা সাংবাদিকতার আইকন তাদের মধ্যে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ একজন। রিয়াজ উদ্দিন, গিয়াস কামালদের অনুস্মরণ করেই আমরা সাংবাদিকতা শিখেছি।
মাহফুজুর রহমান বলেন, দেশের সাংবাদিকতায় আজ সম্মান নেই, সততা নেই। সাংবাদিকদের বিভক্তি পেশার মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে। 
অনুষ্ঠানে বক্তাদের আলোচনায় বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক তোফজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, এবিএম মুসা, নির্মল সেন, আনোয়ার জাহিদ, আতাউস সামাদ, গিয়াস কামাল চৌধুরী, কামাল লোহানী প্রমুখের পেশাদারিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের কথাও উঠে আসে এবং তাদের আদর্শ অনুস্মরণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বক্তারা সদস্য প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মৃতি চারণ করে তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ওয়াজেদ এ খান তার বক্তব্যে দেশে স্বাধীন সাংবাকিতার পাশাপাশি ন্যায় বিচার, আইনের শাসন, মানবাধিকার আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবী জানান। 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন খান, কমিউনিটি অ্যক্টিভিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদ, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ সহ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর সরকার, বাংলা ভিশন-এর নিউইয়র্ক প্রতিনিধি নিহার সিদ্দিকী, ফটো সাংবাদিক এ হাই স্বপন ও শাহ জে চৌধুরী এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট হুমরান আনসারী ও ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত