চীনে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদত্যাগ করছেন
তিন বছর চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন টেরি ব্রানস্ট্যাড
পদত্যাগ করছেন চীনে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টেরি ব্রানস্ট্যাড। তিন বছর বেইজিং এ কাজ করার পর পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন তিনি।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই বেইজিং থেকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশে ফিরে আসবেন টেরি ব্রানস্ট্যাড।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরেই পদত্যাগ করছেন টেরি ব্রানস্ট্যাড, এমন ধারণাই করা হচ্ছে। সম্প্রতি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে চীন ও আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার চীন সরকার বেইজিং এ নিয়োজিত মার্কিন কর্মকর্তা ও কূটনৈতিকদের উপর বেশ কিছু বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেন। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রশাসনও চীনের কর্মকর্তাদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে চীন পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছিলো।
এদিকে, সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও টেরি ব্রানস্ট্যাডকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক টুইট বার্তায় লেখেন, 'টেরি ব্রানস্ট্যাডকে আমেরিকার জনগণের সেবার চীনে কাজ করার জন্য ধন্যবাদ। টেরি ব্রানস্ট্যাড তার কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা দিয়ে চীনের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ঠিক রাখতে ও আমেরিকার স্বার্থ বজার রাখতে কাজ করে গেছেন। তিনি এই কাজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি ছিলেন'।
তবে টেরি ব্রানস্ট্যাড কি কারণে পদত্যাগ করছেন কিংবা টেরির স্থলাভিষিক্ত কে হতে পারেন, এ ব্যাপারে কোনো কিছু খোলাসা করেননি মাইক পম্পেও।
২০১৬ সালে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম দূতাবাস কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে টেরির ভালো সম্পর্ক থাকায় এবং চীনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও কৃষিক্ষেত্র নিয়ে ভালো ধারণা থাকায় তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, টেরির চীনের রাষ্ট্রদূত হওয়ার পর থেকে আমেরিকার সাথে চীনের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। চলমান 'ট্রেড-ওয়ার' নিয়ে চীন ও আমেরিকার উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়েছে। ফলস্বরূপ আমেরিকায় চীনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। তাছাড়া আমেরিকায় কর্মরত চীনের সাংবাদিকদের ভিসা নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন