যুক্তরাষ্ট্রে পরিবর্তন হতে পারে গর্ভপাত অধিকার আইন
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতি হিসেবে রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী নিয়োগ হলে বদলে যেতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গর্ভপাত অধিকার আইন।
ডেমোক্রেটিক ঘরানার বিচারপতি রুথ বডার গিন্সবার্গের মৃত্যুর পর সুপ্রিম কোর্টে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের সুযোগ এসেছে। আর রিপাবলিকান এক্টিভিস্টদের অন্যতম এজেন্ডা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা। সেক্ষেত্রে যদি রিপাবলিকান ঘরানার বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ পায়, তাহলে ১৯৭৩ সালের রো ভার্সেস ওয়াইড আইন (নারীদের গর্ভপাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা আইন) এর পরিবর্তন হতে পারে। ১৯৭৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে ৭-২ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার বিষয়ক এই আইন জারি করা হয়েছিলো।
ইতোমধ্যে রিপাবলিকানশাসিত রাজ্য ওহাইও, জর্জিয়া, মিসৌরি, আরকানাস ও আলবামাসহ প্রায় তেরোটি অঙ্গরাজ্যে নারীদের গর্ভপাতের আইন সীমিত করা হয়েছে।
রক্ষণশীল ঘরানার ও ধর্মীয় ভাবধারার রিপাবলিকানরা সবসময় যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷ অপরদিকে, ডেমোক্রেটিক বা উদারপন্থী সমর্থকেরা যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ডেমোক্রেটিক ভাবধারার বাদিন্দাদের মতে, নারীর শরীরের অধিকার তার নিজের, সেক্ষেত্রে গর্ভপাতের স্বাধীনতাও নারীর রয়েছে। গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়া মানে নারীর অধিকার কেড়ে নেয়া বএ মনে করেন ডেমোক্র্যাটরা।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার তিনি সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতি নিয়োগের মনোনয়ন দিবেন। অপরদিকে সিনেটেও এই মনোনয়নের পক্ষে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতি হিসেবে রিপাবলিকান ঘরানার বিচারপতি এমি কোনি ব্যারেটকে নিয়োগ দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাত অধিকার আইনের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন